এবার সরাসরি ব্রিটেনের ক্ষমতার রাজনীতিতের বিতর্কে ঢুকে পড়লেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার স্বাধীনতা খর্ব করছেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। স্টারমারের ক্ষমতায় ইংল্যান্ডে গণতন্ত্র বিপন্ন। এমন অভিযোগ করে মাস্ক দাবি তুললেন, ইংল্যান্ডে পার্লামেন্ট ভেঙে দ্রুত নির্বাচন করা উচিত। এর জন্য রাজ পবিরারের কাছেও আবেদন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতম ব্যক্তি মাস্ক। দেশের প্রধান বিরোধী ঋষি সুনাকদের গলাতেও যা শোনা যায় না, সেটাই বলছেন মাস্ক। নিজের কেনা এক্স প্ল্যাটফর্মে ব্রিটেনে অবিলম্বে নির্বাচন করে নতুন সরকার গড়ার দাবি তুললেন দুনিয়ার সবচেয়ে ধনকুবের শিল্পপতি। জো বাইডেনের মত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের EU-র অন্তর্ভুক্ত কিয়ের স্টারমারের প্রশাসন ব্যবসায়িক দিক থেকে মাস্ককে অসুবিধা ফেলায় তিনি এমন কথা বলছেন বলে দাবি। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত ইংল্যান্ডেও নিজের পছন্দের মানুষকে সরকারে চাইছেন মাস্ক। এমন কথাই শোনা যাচ্ছে।
জো বাইডেনের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সব কিছু উজাড় করে সমর্থন করেছিলেন দুনিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। এক্স (আগে নাম ছিল টুইটার)-এর মালিক মাস্কের সরাসরি সমর্থন, রেকর্ড অর্থের সাহায্য পেয়ে মার্কিন নির্বাচনে জিতে মসনদে ফিরেছেন ট্রাম্প। তার পুরস্কার হিসেবে মাস্ককে তার প্রশাসনে অতি গুরুত্বপূর্ণ পদও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প। এবার মার্কিন নির্বাচনের পর ইংল্যান্ডের রাজনীতিতে সরাসরি ঢুকে পড়লেন টেসলা, স্পেস এক্সের ধনকুবের মালিক।
একই ঢঙে মার্কিনীদের পড়শি দেশ কানাডার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো-র তীব্র বিরোধিতা করে, দেশের বিরোধী দলনেতার প্রশংসা করছেন টেসলার ৪৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক। জার্মানির ক্ষমতাসীন দলকেও তোপ দাগছেন মাস্ক। যা নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলার ওলাফ স্কোলজ বিস্ফোরক অভিযোগ এনে, মাস্ককে দুনিয়ার বিপদ বলেও অ্যাখা দিয়েছেন।
এর আগে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ভেনেজুয়েলা-সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশের অভ্যন্তরীন রাজনীতি, নির্বাচনে নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও এক পক্ষের তীব্র সমালোচনা বা প্রশংসা করেছেন মাস্ক। ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গলে বসতি গড়ার স্বপ্ন দেখা দেখা মাস্ক এখন যে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনীতি মাথা গলিয়ে বড় কোনও লক্ষ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছেন, সেটা বোঝা যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের ধারনা। তবে ট্রাম্প প্রশাসনে বাইরে থেকে ঢুকে মার্কিন রাজনীতিতে মাস্কের সময়টা যে মসৃণ যাবে না সেটা বলাই বাহুল্য।