লাহোর, ১৭ ডিসেম্বর: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে (Former President Pervez Musharraf) দেশদ্রোহিতার মামলায় মৃত্যুদণ্ড (High Treason Case) শোনাল বিশেষ আদালত (Special Court)। পেশোয়ার হাইকোর্টে (Peshawar Court) প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদের (Waqar Ahmad) নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানেই ১৭ ডিসেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই মুহূর্তে অসুস্থতার কারণে দুবাইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাই এই বিষয়ে তাঁর কোনও মতামত এখনও পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে। তিন সদস্যের বেঞ্চে রয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ, বিচারপতি নজর আকবর এবং শহীদ করিম। তিনজনের মধ্যে ২ জন মুশারফের বিরুদ্ধে রায় দেন। তাঁদের রায়ের ভিত্তিতেই প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফকে দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মুসলিম লিগ নওয়াজ সরকার দেশদ্রোহিতার মামলা করে। আরও পড়ুন, আজ বাংলাদেশের বিজয় দিবস, কী হয়েছিল এই দিন?
A special court hands death penalty to former Pakistani military dictator Pervez Musharraf in high treason case: Pakistan Media (file pic) pic.twitter.com/8V3j7uAyZI
— ANI (@ANI) December 17, 2019
নওয়াজ শরিফের মেয়ে মারিয়াম নওয়াজ জানিয়েছেন, তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয় তিনি পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থায় দায়ের করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সাল থেকে মামলাটি ঝুলে ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার লাহোরের বিশেষ আদালত ৭৬ বছরের মুশারফের বিবৃতি রেকর্ডের নির্দেশ দেয় গত ৫ ডিসেম্বর।