১৯৮৪ সালে রিলিজ হওয়া শেখর কাপুরের 'ব্যান্ডেট কুইন'বলিউড সিনেমার ধারাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। ডাকাত থেকে দেশের সাংসদ হওয়া ফুলন দেবীর জীবীনীর ওপর তৈরি হওয়া এই সিনেমায় নাম-ভূমিকায় অভিনয় করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে বাহবা আদায় করে নিয়েছিলেন অসমের অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস (Seema Biswas)। ৪১ বছর পরেও ব্যান্ডেট কুইন সিনেমায় সীমা বিশ্বাসের অভিনয় নিয়ে চর্চা হয়। ওয়াটার থেকে খামোশি, বিবাহ, হাফ গার্লফ্রেন্ড সহ বহু বলিউড সিনেমায় অভিনয় করা জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস 'অজন্তা-ইলোরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব' (AIFF) এসে বড় কথা বললেন। তাঁর কেরিয়ারের নানা বিষয়, অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করার সময় অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস বললেন, "একজন অভিনেতা বা যে কোনও মানুষের উচিত কোনও সমালোচনার জবাবটা মুখে না দিয়ে, তার কাজের মাধ্যমে দিতে। সীমা বললেন, "আমি একজন দুর্দান্ত ড্যান্সার হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি অভিনয় করা শুরু করতে বুঝতে পারলাম, আমায় এই জিনিসটা কাছে ডাকছে। আমার সফরের শুরুটা হয়েছিল একটা ছোট্ট গ্রাম থেকে, আর সেটা আমায় অস্কার পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল।
স্মৃতিতে ব্যান্ডেট কুইন
বলিউডের চিরকালীন সেরা সিনেমার তালিকায় ঠাঁই পাওয়া 'ব্যান্ডেট কুইন'-এর স্মৃতিতে ডুব দিয়ে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা সীমা বললেন, " পুরো চিত্রনাট্য পড়ার পর, আমি তিনদিন ঘুমতে পারিনি। আমি জানতে এই চরিত্রটা যেন আমার জন্যই লেখা হয়েছে। এই সিনেমায় কাজ করার অভিজ্ঞতাটা আমার আজীবন মনে থাকবে। ব্যান্ডেট কুইনের পর আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন, আমি শুধু একজন বিতর্কিত অভিনেত্রী নই, বরং একজন বহুমুখী পারফরমার। আমি আমি 'খামোশি'-তে অভিনয় করার জন্য বেছে নিই।"
কাজেই সমালোচনার জবাব দাও
আগামী দিনে যারা অভিনেতা-অভিনেত্রী হতে চান তাদের পরামর্শ দিতে গিয়ে সীমা বিশ্বাস বললেন, " প্রতিটি রোল একটা সত্যতা দাবি করে। তোমার চরিত্রের থেকে অনুপ্রেরণা নাও, কিন্তু সেটাকে কখনই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। কপি বা নকল করে কোনও কাজ করলে সেটা আসল পারফরম্যান্সের আত্মাকে ধ্বংস করে দেয়। কোনও রোল বা ভূমিকায় নিজেকে প্রস্তুত করার সময়, নিজেকে সেই চরিত্রে সারা দিন ডুবিয়ে রাখো। আমার কাছে, প্রতিটি রোল শুরু হয় একটা আঁচড় থেকে, এবং তারপর সেটাকে আমি মূর্তিদান করব বলে ঠিক করি।"