তুষার এবং শীতকালীন কার্যকলাপের একটি আন্তর্জাতিক উদযাপন হল বিশ্ব তুষার দিবস। ২০১২ সালে চালু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্ব তুষার দিবসের। লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে তুষারের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে তুলেছে বিশ্ব তুষার দিবস। এই দিনটি শিক্ষা এবং উপভোগের উপর জোর দেয়, যা শীতকালীন খেলাধুলা এবং তুষারময় অ্যাডভেঞ্চারগুলিকে বিশ্বজুড়ে পরিবারের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। ২০২৫ সালে বিশ্ব তুষার দিবস পালন করা হবে ১৯ জানুয়ারি, রবিবার।

বিশ্ব তুষার দিবসের এই বার্ষিক অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর পালন করা হয় জানুয়ারি মাসের তৃতীয় রবিবার, যখন উত্তর গোলার্ধে তুষারপাতের মরসুম শীর্ষে থাকে। বিশ্ব তুষার দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল স্কিইং এবং স্নোবোর্ডিং থেকে শুরু করে তুষারমানব তৈরি এবং পরিবেশগত সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং শীতের জাদুকে আলিঙ্গন করা। প্রতিটি তুষারকণা অনন্য, কোনও দুটি তুষারকণা হুবহু একই রকম হয় না। মেঘ থেকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি তুষারকণা তার নিজস্ব অনন্য আকৃতি তৈরি করে।

তুষার দেখতে সাদা হয়, তবে তুষার কখনও কখনও নীল, গোলাপি, কমলাও দেখাতে পারে, এটি নির্ভর করে সূর্যের আলো কীভাবে পড়ে তার উপর। তুষারকণার প্রায় ৯০ শতাংশ অংশই বাতাস দিয়ে তৈরি, যে কারণে তুষার হালকা মনে হয়। ১৮৮৭ সালে মন্টানায় ১৫ ইঞ্চি চওড়া একটি তুষারকণা দেখা যায়, এটা বাস্কেটবলের চেয়েও বড়। বিশ্ব তুষার দিবস শীতের মাসগুলিতে শিশু এবং পরিবারকে সক্রিয় থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবলম্বন করতে উৎসাহিত করে। এই উৎসবটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তুষারাবৃত পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে।