বুধবার সকালে ইরানের তেহরানে মৃত্যু হয় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহের (Ismail Haniyeh)। এই হামলায় ইজরায়েলি সেনা যুক্ত রয়েছে বলে দাবি ইরানের। তবে এখনও এই বিষয়ে নীরব নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) সরকার।। বুধবার ইজরায়েলের মুখপাত্র ডেভিড মেনসার (David Mencer) সাংবাদিক সম্মেলন করেন। আর তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইজরায়েল সরকার এখনই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চায় না। তবে আমাদের এই যুদ্ধ নিয়ে তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, হামাস বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে নির্মুল করা। দ্বিতীয়ত, ১৫০ জন ইজরায়েলি বন্দিদের ছাড়ানো। আগামীকাল নিয়ে মোট ৩০০ দিন সম্পূর্ণ হতে চলেছে তাঁদের বন্দিদশার। এবং তৃতীয়ত, গাজা থেকে সমস্ত উগ্রবাদী সংগঠনদের হটাতে হবে যাতে পরবর্তীকালে এই এলাকা ইজরায়েলের কাছে আশঙ্কার কারণ না হয়।

একই সঙ্গে ইরানের চোখরাঙানি নিয়ে ইজরায়েলের মুত্রপাত্র বলেন, আমরা সবরকমের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সেটা কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হোক বা হামলাকে প্রতিহত করতে হোক। আমরা নিজেদের রক্ষা করতে জানি। ইজরায়েলি জনগন আমাদের ভরসা করে। তাঁরা জানে আমরা সমস্ত হামলা থেকে তাঁদের বাঁচাতে পারি। ইরান শুধুমাত্র ইজরায়েলের শত্রু নয়। ভারতের মতো প্রতিটি গনতান্ত্রিক দেশের শত্রু।

মেনসার  আরও বলেন, ইজরায়েল বিশ্বের একমাত্র ইহুদি দেশ। আমাদের চারদিকে শত্রুরা রয়েছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই চলছে। যেমন ভারত তাঁদের ওপর হামলাকে প্রতিহত করছে, তেমনই আমরাও চারপাশের শত্রুদের থেকে নিজেদের দেশকে সুরক্ষিত রাখছি করছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। ইহুদিদের জন্য অন্যতম নিরাপদ স্থান ভারত, আর এটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সেনা যখন তিনবছর টানা যুদ্ধ করে বিরতি নেন তখন তাঁরা ভারতে যেতেই পছন্দ করেন। কারণ সেখানকার আবহাওয়া সকলকে সুস্থ করে দেয়। ভারতের শান্তিপূর্ণ সুন্দর পরিবেশ আমাদের আকৃষ্ট করে। শুধুমাত্র সামরিক ক্ষেত্র নয়, তথ্য প্রযুক্তিতেও দুই দেশ একে অপরকে সাহায্য করে। ফলে এই সম্পর্ক আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।