শনিবার রাতে নিউ দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টে ঘটনা নিয়ে এদিন সকাল থেকেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। বিরোধীরা কার্যত সমালোচনায় বিদ্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকারকে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব সকলেই এই ঘটনা নিয়ে রেল মন্ত্রকের চুড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এমনকী এই ঘটনায় রেলের যথেষ্ট গাফিলতি যে ছিল, সে কথা রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) অস্বীকার করলেন না।

গাফিলতির কথা স্বীকার শুভেন্দু অধিকারীর

এদিন শুভেন্দু বলেন, "ঘটনাটি নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। মহাকুম্ভের জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসছেন, যাচ্ছেন আবার ব্যক্তিগত কাজের জন্যও নিউ দিল্লি রেলস্টেশনে যাতায়াত হচ্ছেই। ফলে এই বিশেষ দিনগুলিতে জনসাধারণকে যেমন সচেতনভাবে চলাফেরা করা উচিত ছিল। তেমনই এই নিয়ে রেলকেও আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। যদি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে হত, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। ফলে দুই পক্ষেরই কিছুটা গাফিলতি রয়েছে। রেলমন্ত্রক এই নিয়ে অবশ্যই কাজ করছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলা হয়েছে। আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, তারজন্য রেলমন্ত্রকের কাজ করা উচিত"।

দেখুন শুভেন্দু বক্তব্য

মৃতের তালিকায় বাদ নেই ৭ বছরের বাচ্চাও

প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৭ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ৭৯ বছরের বৃদ্ধা অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বিহার ও দিল্লির বাসিন্দা। শুধুমাত্র ১ জনই ছিলেন হরিয়ানার বাসিন্দা। এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন অনেকে। ঘটনা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল মন্ত্রক।