উষ্ণায়নের অশনি সংকেত, একদিনে ২০০ টনের বরফ গলে জল গ্রিনল্যান্ডে
গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলছে (Photo Credit: Twitter)

দূষণের প্রভাবে জর্জরিত গোটা পৃথিবী, সবসময়ই মনেহচ্ছে একটু একটু করে প্রকৃতিকে নিঃশ্বেষ করে আমরা এগিয়ে চলেছি, মৃত্যুও গুটিগুটি পায়ে ধ্বংসের চেহারা নিচ্ছে, যেদিন সে পূর্ণাবয়ব পাবে সেদিন আর রেহাই নেই। হিমালয়ের বরফ গলচে আগেই খবর পাওয়া গিয়েছে। বফ গলা জলে পৃথিবী পূর্ণ হলে স্থলভাগের হদিশ মিলবে না জানি। পরিবেশবিদরাও এনিয়ে আতঙ্কিত একাধারে চিন্তিতও। তাইবলে এত তাড়াতাড়ি ২০০ কোটি টনের বরফের স্তূপ গলে জল হতে পারে, কেউ ভাবতেই পারেনি। যদিও তেমনটাই ঘটেছে, একদিনে জল হয়েছে ২০০ কোটি টনের বরফ(2billion tons of ice melts)। ঘটনাস্থল গ্রিনল্যান্ড। আরও পড়ুন-

সেখানে ঊষ্ণায়নের এহেন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কের মাত্রা বাড়ছে হু হু করে। মোট আয়তনের ৪০ শতাংশ অঞ্চলে এক সপ্তাহ ধরে বরফ গলার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশাল বরফের চাঁই এভাবে গলে যাওয়ায় শঙ্কিত বিশ্বের পরিবেশবিদরা। জুন থেকে অগস্টের মধ্যে প্রতি বছরই গ্রিনল্যাণ্ডের বরফ গলে। এই সময়টিকে গ্রিনল্যান্ডের (Greenland) বরফ গলার মরশুম হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু একদিনের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ বরফ গলায় স্বাভাবিক ভাবেই কপালে ভাঁজ পড়েছে পরিবেশবিদদের। গত সপ্তাহ জুড়ে চলা তাপ প্রবাহে গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর গলে যাওয়ার হার ছিল যথেষ্টই বেশি। ওয়াশিংটন পোস্টের সূত্রে জানানো হয়েছে ৩৬০ গিগাটন বরফ গললে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এক মিলিমিটার। শুধু গ্রিনল্যান্ডেই দুই গিগাটন বরফ গলেছে যদিও এই পরিমাপের মধ্যে অ্যান্টারটিকা ও মেরু অঞ্চলের বরফ গলার পরিমাণও রয়েছে।

জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষক বিজ্ঞানী থমাস মোটি সিএনএন কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, হঠাৎ করে বরফ গলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক হলেও অভিনব নয়। তবে গ্রীষ্মে এমন বিপুল পরিমাণে বরফ গলে যাওয়াকে অশনি সংকেত হিসেবেই দেখছেন পরিবেশবিদ থেকে আবহবিদেরা। ২০১৯ সালে এযাবৎকালের মধ্যে গ্লেসিয়ার ও বরফের স্তূপ গলার রেকর্ড সৃষ্টি হবে বলে ধারণা পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের।