লাদাখ নিয়ে ভারতের এক তরফা সিদ্ধান্ত মানব না,  আসরে নামল চিন
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Twitter)

 বেজিং, ৬ আগস্ট: লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির ২৪ ঘণ্টা পর মুখ খুলল বেজিং। সোমবার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার জন্য একটি বিলও পেশ করা হয়েছে। এতকিছু হয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাদাখ নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলল চিন। সোমবারই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। পর্যবেক্ষকরা ভেবেছিলেন, পাকিস্তানের বন্ধু চিনও প্রতিক্রিয়া জানাবে, কারণ চিন সীমান্তে আকসাই চিন অঞ্চলটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আরও পড়ুন-অমিত শাহ মিথ্যে বলছেন, আমাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, কী বললেন ফারুক আবদুল্লা?(দেখুন ভিডিও)

এদিন মুখ খুলেই বেজিং জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি বজায় রাখতে ভারতের উচিত কাশ্মীর নিয়ে একতরফা পদক্ষেপ না নেওয়া। আর লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে দেগে দেওয়াকে মেনে নেওয়া যায় না। যদিও চিনের এই সামলোচনাকে পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে নয়াদিল্লির সাফ জবাব, এটি একেবারেই ভারতের নিজস্ব বিষয়। যতদিন না কোনও ভূখণ্ড নিয়ে স্থায়ী সমাধান হচ্ছে ততদিন দুই তরফেরই উচিত শান্তি বজায় রাখা। যদিও নয়াদিল্লির এই জবাবে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। মঙ্গলবার এনিয়ে দু’দফায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। প্রথমে বলা হয়েছে, ভারত আমাদের এলাকা দখল করে আছে। আমাদের অবস্থান কখনও পরিবর্তিত হয়নি। পরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে ভারত চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা একতরফা দেশের আইন বদলে ফেলছে। এই ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। এতে কারও উপকার হবে না।

বিষয়টি নিয়ে যে আন্তার্জাতিক স্তরে জলঘোলা হবে তা স্পষ্ট করে দিল বেজিং। আকসাই চিন যেমন নিজেদের মধ্যে রাখতে বদ্ধপরিকর নয়াদিল্লি, তেমনই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার বান্দা নয় বেজিং। ফের তাইই মনে করিয়ে দেওয়া হল। পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীর ও লাদাখ ইস্যুকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে সুরতহাল করবে বেজিং তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল এদিনের বক্তব্যে।