প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Getty Images)

কলকাতা, ১ অগাস্ট: করোনাভাইরাসের পরীক্ষা (COVID-19 tests) নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩। আইসিএমআর-র (ICMR) নামে ভুয়ো করোনা টেস্ট রিপোর্ট তৈরির অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল নেতাজি নগর থানার (Netajinagar PS) পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৩ জন সরকারি হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক ল্যাবকর্মী। ধৃতরা কোভিড -১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে আইসিএমআর-র ভুয়ো ফর্ম ব্যবহার করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, নেতাজিনগর থানা সূত্রে খবর, গত ৩০ জুলাই নাকতলা রোডের বাসিন্দা সলমা সিনহা ও তাঁর মেয়ে সীমা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সলমা পুলিশেকে জানান, তাঁর স্বামী বিমল সিনহা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। ২৪ জুলাই অনলাইন সার্চ করে একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পেয়েছিলেন তিনি। এই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সংস্থার তরফে জানানো হয়, বাড়িতে গিয়ে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হবে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে লগ ইন করলে রিপোর্ট পাওয়া যাবে। সেইমত আট হাজার টাকা অগ্রিম অনলাইন ট্রান্সফার করা হয়। ২৫ তারিখ বাড়িতে লোক যায়। লালারস ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে। জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৭ তারিখ রিপোর্ট পাওয়া যাবে। আরও পড়ুন: Kolkata: রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠ

২৭ তারিখ সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায় বিমল সিনহার রিপোর্ট নেগেটিভ। ততক্ষণে বিমলবাবুর শরীরে উপসর্গ মারাত্মক আকার নিয়েছে। তীব্র শ্বাসকষ্ট, ধুম জ্বর। তড়িঘড়ি তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি পজেটিভ এবং আশঙ্কাজনক। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করা হয়। ৩০ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় করোনায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর সেই সংস্থার ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন সলমা ও সীমা। হাজরার একটি নামকরা ল্যাবে বিমলবাবুর কোভিড টেস্ট করানো হয়েছে বলে এই সংস্থার দাবি ছিল । হাজরার সেই ল্যাব জানিয়ে দেয়, তাঁরা এই নামের কোনোও ব্যাক্তির নমুনা পরীক্ষা করেনি।

এরপর পুলিসের দ্বারস্থ হন তাঁরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, একাধিক ব্যাক্তিকে একই ল্যাব থেকে পরীক্ষা করানোর নাম করে ঠকানো হয়েছে। এরপর ফোন নম্বরের সূত্র ধরে যে নমুনা সংগ্রহ করেছিল, সেই যুবককে গ্রেপ্তার করে। ধৃত অনিত পাড়িয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই পাণ্ডা ইন্দ্রজিত্ ও বিশ্বজিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের ৩ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।