সিইএসসি (Picture Source: Twitter)

কলকাতা, ১৮ জুলাই: সিইএসসির ইলেক্ট্রিক বিলের (Electric Bill) ছ্যাঁকায় নাজেহাল জনগণ। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেরই মাথায় বজ্রপাত। বিল বিভ্রাটে বাদ পড়েননি খোদ বিদ্যুত মন্ত্রীও। তবে সিইএসসি আজ বিজ্ঞাপন দিয়ে সাফ জানিয়ে দেয় গত দু'মাসের বিল অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে। চাইলে কিস্তিতে বিল মেটানো যেতে পারে। কিন্তু তাই বলে এত? হতবাক নগরবাসী।

জানা গেছে CESC’কে অ্যাডভাইজরি পাঠাতে চলেছে রাজ্য, তাতে যথেষ্ট কড়া হুঁশিয়ারি থাকবে। তাতে বলা হবে, আগামী এক মাসের মধ্যে বিলের ভুল ত্রুটি ঠিক করতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও গ্রাহকের ক্ষেত্রে বিল বাবদ টাকা নেওয়া যাবে না। যদি কোনও গ্রাহক মাত্রাতিরিক্ত বিল মেটাতে না পারেন, তবে তাঁর বিদ্যুতের লাইন কাটা যাবে না। আরও পড়ুন, ভারতীয় রেলের সিগন্যালিং, টেলিযোগাযোগ কাজের জন্য চিনা ফার্মের সঙ্গে চুক্তি বাতিল

আমফানের (Amphan) সময় শহরাঞ্চলের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে গিয়ে প্রায় ‘ব্যর্থ’ হয়েছিল CESC। ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল আমজনতা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও মাত্রাতিরিক্ত বিলের ঘটনা। যা থেকে রেহাই পাননি খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী থেকে অভিনেতারাও। শুক্রবার বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন CESC’র দুই কর্তা। কেন এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে, তার কারণও ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।

CESC’র দাবি, করোনা সংক্রমণের জেরে মার্চ থেকে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়। তার ফলে বেশ কয়েকমাস বন্ধ ছিল মিটার রিডিং। স্বাভাবিকভাবেই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। জুন থেকে ফের মিটার রিডিং শুরু হয়েছে। বাড়তি ইউনিট বিলে যুক্ত হয়েছে। তার উপর আবার গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ খরচ হয় তুলনামূলক বেশি। তাই অতিরিক্ত বিল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন গ্রাহকরা।

এমনিতেই লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। অনেকে আবার মাস মাইনে পাচ্ছেন অর্ধেক। এই অবস্থায় কীকরে তারা সামাল দেবেন এই অর্থভার ভেবে কুল পাচ্ছেন না কেউই।