কলকাতা, ২৬ জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2020) পালনেও নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর। প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি (Soumitra Chatterjee) থেকে শুরু করে অপর্ণা সেন (Aparna Sen), অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya), অনুপম রায় (Anupam Roy), অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutt)সহ অন্যান্য শিল্পীরা একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন প্রজাতন্ত্র দিবসে। অনুপম রায়ের স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে সৌমিত্র, অপর্ণা, অনির্বাণ, অঞ্জন ছাড়াও পরমব্রত চ্যাটার্জি, রত্নাবলী রায়, ধৃতিমান চ্যাটার্জি, ঋদ্ধি সেন, নীতা ঘোষ, জয়ন্ত কৃপালিনী সংবিধানের ভূমিকা একে একে পড়ছেন।
সাত দশক আগে দেশে আজকের দিনেই স্বাধীন ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, সংবিধানকে লঙ্ঘন করেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই এই বিশেষ দিনটিকে CAA-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য বেছে নিয়েছেন বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আরও পড়ুন: Amartya Sen On CAA: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন করেছে: অমর্ত্য সেন
WE THE PEOPLE OF INDIA
#citizenspeakindia #RepublicDay2020 #RepublicDay #Constitution #ConstitutionofIndia pic.twitter.com/WBhXyecIQS
— Piya Chakraborty (@piya_unturned) January 26, 2020
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে এর আগে মুখ খোলন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Nobel Laureate Amartya Sen )। তিনি বলেন, "নাগরিকত্ব সংশোধন আইন সাংবিধানিক বিধান লঙ্ঘন (Violates constitutional provisions) করেছে।" তিনি বলেন, "আমার মতে যে সিএএ আইন পাস হয়েছে তা অসাংবিধানিক বলে প্রমাণ করে দেওয়া উচিত সুপ্রিম কোর্টের। কারণ নাগরিকত্বকে ধর্মীয় পার্থক্যের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট ধরণের মৌলিক মানবাধিকার থাকতে পারে না।" নোবেল জয়ী বলেছেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আসলে গুরুত্বপূর্ণ হল সংশিষ্ট ব্যক্তি কোথায় জন্মেছিলেন ও কোথায় বসবাস করছেন।
তিনি বলেন, "সংশোধিত আইনটি পড়ে আমি বলছি যে এটি সংবিধানের বিধান লঙ্ঘন করছে। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলিতে আলোচনার বিষয় ছিল। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে ধর্মকে ব্যবহার করার জন্য এই জাতীয় বৈষম্যের উদ্দেশ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।" অমর্ত্য সেন অবশ্য জানিয়েছেন যে ভারতের বাইরে হিন্দুদের নির্যাতন করা হয়। এবং তাদের সহানুভূতি প্রাপ্য এবং তাদের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত। নোবেল জয়ী বলেন, তবে এই ধরনের ঘটনার জন্য কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিবেচনা করতে গেলে ধর্ম থেকে স্বতন্ত্র থাকতে হবে। তবে দুর্ভোগ এবং অন্যান্য বিষয়গু