কলকাতা, ২২ এপ্রিল: আর্থ ডে উপলক্ষে বুধবার বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার রদবদল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। এক টুইট বার্তায় এদিন তিনি বলেন, “আজ আর্থ ডে। পৃথিবী এই মুহূর্তে মানব ইতিহাসের সবথেকে বড় বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর এই বিপর্যয়ের নাম করোনাভাইরাস। মহামারী করোনার প্রভাবে বিধ্বস্ত পৃথিবী। হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এর থেকে বড় ভীতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা হল জলবায়ুর পরিবর্তন। এই চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর এই সমবেত লড়াইয়ের ফলেই হয়তো সুন্দর পৃথিবীকে আমরা সংরক্ষণ করতে পারব।”
এদিকে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থ ডে সংক্রান্ত বার্তা পোস্ট হতেই নেটিজেনরা সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যের বাসিন্দারা অভিযোগ করে আসছেন যে, করোনা আক্রান্তরা ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। রাজ্যে ঠিক কতজন করোনা আক্রান্ত তার তথ্য প্রকাশ্যে আসছে না। এমনকী, করোনায় মৃত্যু হলেও হিসেবে অন্য রোগকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, করোনা হাসপাতালে আর ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবেন না রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফোন বাইরে জমা রেখে রশিদ নিতে হবে। মূলত নবান্ন থেকেই এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে খবর। আরও পড়ুন-Donald Trump: কর্মহীন আমেরিকানদের সুবিধার্থে ৬০ দিনের জন্য স্থগিত ইমিগ্রেশন, বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
Today is #EarthDay. Our planet is going through one of the biggest crises in human history - the #CoronaPandemic. But a bigger threat is staring at us - climate change. We must all act together to fight these challenges and preserve our beautiful planet
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 22, 2020
মোবাইল থেকেই ছড়াচ্ছে ভাইরাস, সমস্ত জেলাশাসক, চিফ মেডিকেল অফিসার ও কোভিড হাসপাতালের সুপারদের মোবাইলে একটি টেক্সট মেসেজ করে এ কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবন। এবং সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোভিড হাসপাতালে কোনও রোগী বা স্বাস্থ্য কর্মী কেউই মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে তা শুধু সংশ্লিষ্ট আধিকারিদের জানানো হয়েছে। ওই মোবাইল বার্তায় আরও জানানো হয়েছে যে, রোগীর পরিবার যাতে হাসপাতালের সঙ্গে প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারে সে জন্য কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর, বা হাসপাতালের সুপার কিংবা ম্যানেজারের নম্বর রোগীদের জানাতে হবে। তা ছাড়া এসটিডি সুবিধা সহ একটি ল্যান্ডলাইনের ব্যবস্থা করতে হবে রোগীদের জন্য যাতে তাঁরা প্রয়োজনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, বা রোগীর পরিবারের কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।