প্রতিবেশীর শিশুকন্যাকে অপহরণ করে নৃশংশভাবে খুন। গত ২৫ মার্চ ঘটনাটি ঘটেছিল নভি মুম্বইয়ের (Navi Mumbai) তালোজা থানা এলাকায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবারই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে স্বীকার করেছে যে মুক্তিপণ চাওয়ার আশায় অপহরণ করেছিল সে। কিন্তু ঘটনায় পুলিশ হস্তক্ষেপ করায় নাবালিকাকে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে সে। তারপরেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। অবশেষে এদিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতেও তোলা হয়।

নভি মুম্বইয়ে নাবালিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

পুলিশসূত্রে খবর, গত ২৫ মার্চ প্রতিবেশীর বছর তিনেকের মেয়ে আম্বরিশ শর্মাকে অপহরণ করে স্থানীয় ব্যক্তি মহম্মদ আনসারি। বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুজির পর পুলিশের দারস্থ হয়। পুলিশ তড়িঘড়ি তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেদিন রাতে তাঁর খোঁজ না পেলেও পরেরদিন অর্থাৎ ২৬ মার্চ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি শৌচাগারের ওপরে একটি ব্যাগের মধ্যে উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায় ওই ব্যক্তিটি মহম্মদ আনসারির। এরপর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দেখুন ভিডিয়ো

মুক্তিপণের আশায় অপহরণ করেছিল নাবালিকাকে

তালোজা এলাকার ডিসিপি প্রশান্ত মোহিতা জানান, অভিযুক্ত জেরায় স্বীকার করেছেন যে তিনি মুক্তিপণের জন্যই অপহরণ করেছিলেন। আসলে সে মোবাইল গেমিংয়ে আশক্ত ছিল। আর এই নেশায় তিনি কমপক্ষে ৪২ হাজার টাকা খুইয়েছেন। এই টাকা তোলার জন্যই নাবালিকা অপহরণের ছক কষে। প্রতিবেশীর এই মেয়েকে নিয়ে অভিযুক্তের স্ত্রী বিরক্ত ছিলেন। আর সেই কারণে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে হামেশাই ঝামেলা লেগে থাকত তাঁর স্ত্রীয়ের। সেই কারণে নিজের স্ত্রীকে অপহরণে দায়ে ফাঁসিয়ে পালানোর ঝক কষেছিল। পরিকল্পনা ছিল সময়মতো মুক্তিপণের দাবি করবেন এবং সেটি পেয়ে গেলে মেয়েটিকে খুন করে দেহ লোপাট করে পালিয়ে যাবেন। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় সেই পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। তাই আগেই মেয়েটিকে খুন করে ফেলে সে।