Tathagata Ry and Mamata Banerjee (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১ ডিসেম্বর:  যেনতেন প্রকারেণ শিরোনামে থাকতেই হবে। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর এই মোটো নিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। কখনও দলীয় নেতাদের আক্রামণ কখনও বিরোধীরা। তাঁর নিশানায় কেউ না কেউ আছেনই। দিলীপ ঘোষকে ছেড়ে এবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতাকে বিঁধতে শুরু করলেন তিনি। গতকাল দুদিনের সফরে মুম্বইতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিত্য ঠাকরে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি বাণিজ্যনগরীর শিল্পপতিদের সঙ্গেও করবেন বৈঠক। আর এই খবরেই যেন আগুন ঘি পড়েছে। আও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: ১ লাখের নিচে অ্য়াক্টিভ কেস, ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই আশার খবর

অনুজ বিরোধী রাজনীতিককে টুইটে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা। লিখেছেন, "মমতা মুম্বই গিয়ে শিল্পপতিদের সঙ্গে কথা বলছেন! এসব তো শুধু পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে, বিশেষ করে বেকার ছেলেদের ধোঁকা দেওয়ার জন্য ! যিনি বিক্ষোভ করে টাটার মতো শিল্পপতিকে তাড়িয়েছেন, অর্ধেক তৈরী কারখানা ভেঙে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন তাঁর ডাকে কত শিল্প আসবে আপনারাই বুঝে নিন।"

সবে সবে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচন হয়েছে। তাতে বিজেপি শীর্ষে থাকলেও গড় ধসিয়ে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূল। শুধু জায়গা নয়, একেবারে প্রধান বিরোধী হয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। তথাগত রায় যেন তৈরিই ছিলেন। "ত্রিপুরার ফলে উজ্জীবিত, নতুন সেনাপতিকে দায়িত্বে এনে মাস্টারস্ট্রোক দেবেন মমতা?-News18 Bangla নেই তাই খাচ্ছ, থাকলে কোথায় পেতে ? কহেন কবি কালিদাস পথে যেতে যেতে!"

এখানেই শেষ নয়, ২০২৪-এ দিল্লি দখলের জন্য মমতা বাহিনী দিকে দিকে অগ্রসর হয়েছে। আজ গোয়া, কাল দিল্লি, পরের দিন মুম্বই। বিরোধী রাজনীতিকরা সানন্দে বৈঠকে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যতই আগামী বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ফলের দিকে আশার দৃষ্টিতে বিজেপি তাকিয়ে থাকুক না কেন, দিদির রথের এই বাধাহীন যাত্রা পদ্মশিবিরের হৃদযন্ত্রের গতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।  আজই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আদিত্য ঠাকরের সঙ্গেও সাক্ষাৎ রয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যবাসীর মনে ফের দ্বিধা তৈরির চেষ্টার ত্রুটি রাখলেন না তথাগত রায়।

টুইটে লিখলেন, "শখ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এদিকে বাংলাভাষী ত্রিপুরা পর্যন্ত পিছলে গেল হাত থেকে। তাই কোথায় গোয়া, কোথায় হরিয়ানা, এক একটা বিক্ষুব্ধ নেতা ধরে পায়ঁতারা কষছেন। তা কষুন। কিন্তু এইসব নেতা ধরে আনার যে খরচ সেটা যে পশ্চিমবঙ্গবাসীর পকেট থেকেই যাচ্ছে তা যেন আমরা ভুলে না যাই।"