আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। গ্রেফতারির পর এবার সন্দীপকে শো-কজ করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপের বিরুদ্ধে আরজি করে আর্থিক অনিয়ম, চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শনিবার কারণ দর্শানোর পাঠিয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে জবাব তলব করেছে কাউন্সিল। জানানো হয়েছে, ব্যাখা সন্তোষজনক না হলে সন্দীপের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস নামে দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অভীক। ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার রুমে মৃত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে ছিলেন বহিরাহত এই দুই চিকিৎসক। ভাইরাল ফুটেজে দেখা মিলেছে তাঁদের। ঘটনাস্থলে অভীক এবং বিরূপাক্ষের উপস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শেষমেশ প্রবল চাপের মুখে পড়ে অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ জারি করে কাউন্সিল। সাসপেন্ড করা হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে 'দাদাগিরি'তে অভিযুক্ত তৃণমূলের চিকিৎসকের নেতা মুস্তাফিজুর রহমান মল্লিককেও।
আরজি করের অধ্যক্ষ পদে বসে সরকারি টাকা নয়ছয় থেকে শুরু করে টেন্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, মেডিক্যাল বর্জ্য বিক্রি সহ ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে সনিদিপের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর একে একে ফাঁস হয় সেই সমস্ত অভিযোগ। সিবিআই ইতিমধ্যেই সন্দীপ সহ গ্রেফতার করেছে আরও তিন জনকে। আরজি করে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহক বিপ্লব সিংহ, ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরা, এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। তিনজনই সন্দীপ 'ঘনিষ্ঠ' বলে পরিচিত ছিলেন।