আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল কলেজের তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। ১৮ জানুয়ারি, শনিবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় শুনিয়েছেন। সেই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, আগামী সোমবার, ২০ জানুয়ারি মামলার সাজা ঘোষণা করা হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে।
বিচারকের রায় শুনে সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। বিচারককে তিনি জানান, 'আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমি এটা করিনি। আমার গলায় রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। রুদ্রাক্ষ পরে এই অপরাধ করব? যারা এটা করেছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে'। বিচারকের সামনে হাত জড়ো করে বারবার 'স্যার' 'স্যার' বলে চিৎকার করেন সঞ্জয়। তাঁকে জোর করে আদালত কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।
আরজি কর কাণ্ডের ১৬২ দিনের মাথায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদহ আদালত। বিচারকের রায় শুনে এদিন কোর্টরুমের মধ্যেই কেঁদে ফেলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দেওয়ার জন্যে বিচারককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
আরজি কর কাণ্ডঃ
গত বছর ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ। খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগে ঘটনার পরের দিনই সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Roy) গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তবে মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের আর্জি জানিয়ে পথে নেমেছিলেন জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। এরপর আরজি কর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর কাছে। ধৃত সঞ্জয়কে কলকাতা পুলিশ তুলে দেয় সিবিআই-এর হাতে। সেই থেকে মামলার তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই আধিকারিকেরা। আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থার জমা দেওয়া চার্জশিটে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে সঞ্জয়ের।
কী সাজা হতে পারে সঞ্জয়েরঃ
এদিন বিচারক জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় ১০ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। খুনের ঘটনার ক্ষেত্রে ২৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু সঞ্জয় যেভাবে গলা টিপে হত্যা করেছেন তরুণী চিকিৎসককে, সেক্ষেত্রে তাঁর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।