কলকাতা, ৪ মার্চ: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে বসন্তেই প্রায় কালবৈশাখীর চেহারা দেখে ফেলল দক্ষিণবঙ্গ। বাদ যায়নি কলকাতাও। মঙ্গলবার সন্ধে নামতেই ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দাপট দেখেছে শহর। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতায় প্রায় ৪৪ কিলোমিটার বেগে ঝড় হয়েছে। যদিও আবহবিদরা মনে করছেন, এই ঝড়ের সঙ্গে কালবৈশাখীর (Thunder Storm) কোনও সাদৃশ্য নেই। অন্যগিকে শিলাবৃষ্টি শুধু কলকাতায় নয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে। এরজেরে ফসলের বিরাট ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই অসময়ে শিলাবৃষ্টি, ঝড়ের ফলে চাষিরা যে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তা ভালই বোঝা যাচ্ছে। এমনিতে দিনের বেলা রোদুদুরে বেরোলে গ্রীষ্মের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা বর্তমান ছিল। কালকের বৃষ্টির পরে তা আরও শীতল হয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের দাবি, বুধবারও আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দিনভর মেঘ রোদ্দুরের খেলা চলবে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। দক্ষিণবঙ্গে এখনই আবহাওয়ার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকী গোটা সপ্তাহ জুড়ে এই মেঘ বৃষ্টি ঝঞ্ঝা পরিস্থিতি বজায় থাকবে। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এর জেরে ধান, গম, আলু, সর্ষে, কলাই চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। আরও পড়ুন- CM Mamata Banerjee: সীমান্ত প্রহরায় থাকা বিএসএফরা গ্রামের সমস্যায় নাক গলাতে পারে না, কালিয়াগঞ্জে বললেন মমতা ব্যানার্জি
মঙ্গলবার বিকেলের আচমকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপটে রাতের তাপমাত্র কমে ২১.৪ ডিগ্রিতে নেমে আসে। বঙ্গোপসাগরের উচ্চচাপ বলয় ও মধ্যপ্রদেশের ঘূর্ণাবর্তের জেরে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। পরে তা সরে আসে কলকাতার দিকে। আলিপুরের উপর উল্লম্ব মেঘের উচ্চতা ছিল ৮-১০ কিলোমিটার। বহুদিন পর বসন্তে এমন মুষলধারায় বৃষ্টি দেখল কলকাতা। আক্ষরিক অর্থেই এবারের বসন্ত একেবারে বৈচিত্রময়। তবে সামনে রঙের উৎসব দোল। সেই সময় অন্তত শুকনো থাকুর পারিপার্শ্বিক এমনটাই চাইছে বাঙালি। শোনা যাচ্ছে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চারের পাশাপাশি তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।