প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: “আমি বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছি না। রাজনীতিতেও যোগ দিচ্ছি না। বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছি না। অনির্বাণের স্ত্রী এবং কন্যা আমার ভক্ত। ওঁরা সে কারণেই দেখা করতে এসেছিলেন। ওঁরা এসেছিলেন একজন নায়ক এবং অভিনেতার সঙ্গে দেখা করতে। উনি আমাকে একটা বই উপহার দিয়েছেন। যা আমার কাছে সৌজন্যের পরিচয় বলেই মনে হয়েছে।” তাঁকে নিয়ে শুরু হওয়া রাজনৈতিক জল্পনা কল্পনায় জল ঢেলে দিলেন বাংলা ছবির সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee)। সরস্বতী পুজোর রাতে সপরিবারে বুম্বাদার দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সদস্য ডক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে অমিত শাহকে নিয়ে নিজের লেখা বইও উপহার দেন অভিনেতাকে। আরও পড়ুন-Lucknow: মন্দিরের জমি দখল করতে শেষে সরকারি নথিতে ‘মৃত ঈশ্বর’!

এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। তবে অনির্বাণবাবু প্রসেনজিতের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে যায় আলোড়ন। এমনিতে টলিউডে একের পর এক তৃণমূলের উইকেট পড়ছে। তায় সকালে মিঠুনের বাড়িতে পৌঁছে গেছেন মোহন ভাগবত। রাতে যদি গেরুয়া শিবিরের টার্গেট হন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাহলে তো চিন্তা বাড়বে বই কমার নয়। তবে কী বুম্বাদা পদ্মশিবিরে গেলেন? এমন প্রশ্নে যারপরনাই বিস্মিত অভিনেতা  আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যদি রাজনীতিতে যোগ দেয়, তাহলে পাঁচ বছর ধরে ভেবে বুক ফুলিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেবে। লুকিয়ে-চুরিয়ে নয়। কিন্তু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কখনও রাজনীতিতে যাবে না। এটা আপনারা লিখে দিতে পারেন!”

অন্যদিকে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রসেনজিৎকে ধন্যবাদ জানাতেই এসেছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। সাংস্কৃতিক হাব হিসেবে বাংলার হৃতগৌরব কী করে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। এটা আমাদের সম্পর্ক অভিযানের অঙ্গ। যেমন অমিত শাহ কলকাতায় এসে অজয় চক্রবর্তীর বাড়ি গিয়েছিলেন।”