কলকাতা (প্রতীকী ছবি: File Photo)

কলকাতা, ২৩ মার্চ: করোনাভাইরাসের (Coronavirus Outbreak) দাপটে ঘরবন্দি মানুষ! ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে একের পর এক রাজ্যে লকডাউনের (Janata Curfew) সিদ্ধান্ত সরকারের। প্রাণ বাঁচাতে নিজেদেরকে ঘরবন্দি করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ মানুষ। রাস্তায় চলছে না গাড়ি। যার জেরে একধাক্কায় অনেকটাই কমেছে দূষণ (Pollution Level Decrease)। সমীক্ষা বলছে, সাধারণত কলকাতায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কোয়ালিটি থাকে ৪০০-র কাছাকাছি। কিন্তু জনতা কারফিউ এবং লকডাউনের জেরে ধূলিকণার ইন্ডেক্স সোমবার ছিল ৩৫ (পিএম ২.৫)।

কলকাতার যেসমস্ত এলাকায় দূষণের মাত্রা বেশি। সেইসব এলাকাতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দূষণের মাত্রা ছিল ৪২(পিএম ২.৫)-র পাশাপাশি। বালিগঞ্জেও কমেছে দূষণের মাত্রা অনেকটাই। জনতা কার্ফুর দিন দূষণের মাত্রা ছিল ৪০(পিএম ২.৫)। রবীন্দ্র সরোবরে দূষণের মাত্রাও একধাক্কায় বেশ কিছুটা কমেছে। জনতা কার্ফুর দিন দূষণের মাত্রা ছিল ৩৯(পিএম ২.৫)। পাশাপাশি, বিধাননগরের বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ৪১(পিএম ২.৫)। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাতাসে অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার ইন্ডেক্স ছিল ৩৫(পিএম ২.৫)।  যাদবপুরেও সেই একই মাত্রা ধরা পড়েছে। আরও পড়ুন: Coronavirus Outbreak: করোনার কাঁটা থেকে মুক্ত হচ্ছে চিন, ৮৯ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে 

পরিবেশবিদদের মতে, পরিবেশের দূষণ একধাক্কায় অনেকটাই কমে যাওয়ায় ভারসাম্য ফিরেছে পরিবেশে। একদিকে কলকাতার দূষণের মাত্রা যেমন অনেকটাই কমেছে। অন্যদিকে, বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের ছবিটাও একই। কথাতেই আছে, মুুম্বই কখনও ঘুমোয় না। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে আপাতত সীমান্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। প্রাণের ভয়ে ঘরের মধ্যেই নিজেদের বন্দি করেছেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে পরিবেশ দূষণের মাত্রাটা আজ অনেকটাই কম বাণিজ্যনগরী। মুম্বইয়ের সমুদ্রের নীল জলে খেলে বেড়াচ্ছে ডলফিন। কারণ লকডাউনের জেরে রাস্তাঘাট শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন জুহি চাওলা। একই ছবি দেখা গিয়েছে ইতালিতেও। ইতালির ভেনিসে পর্যটকদের আনাগোনায় লেক পুরো দূষণে ভরে উঠেছিল। কিন্তু করোনার জেরে আজ 'মৃত্যুপুরী' ইতালি। সেই লেকে ঘুরে বেরাচ্ছে রাজহাঁস।