প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: ANI)

বোলপুর, ২৪ ডিসেম্বর:  আজ বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা দিবস। এ বছর শতবর্ষ উৎযাপন করবে বিশ্বভারতী। প্রতিবছর ৮ পৌষ প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ ১১টা নাগাদ এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছড়াও, ভিডিয়ো কনফারেন্সে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যপাল ও অন্যান্যরাও।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য :

  • সকলকে অভিনন্দন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্ণ হওয়া সকলের জন্য বড় গর্বের। আমার জন্যও এটা অনেক বড় বিষয়।
  • বিশ্বভারতীর ১০০ বছরের যাত্রা গুরুদেবের চিন্তা, দর্শন ও পরিশ্রমের অবতার। এটা একটা আরাধ্যস্থল।
  • নতুন ভারতের নির্মাণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এই প্রতিষ্ঠান দেশকে শক্তি জুগিয়েছে। বিশ্বভারতীয় প্রতিভা দেশজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।
  • এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান পেছনে শুধু ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল না, আরও অনেক কিছুই ছিল।
  • বিশ্বভারতীয় দেশের পথপ্রদর্শক। বিশ্বভারতীয় দেশের একতার প্রতীক। যুগের সন্ধিক্ষণে একসঙ্গে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছিল ভারতে। প্রকৃতির সঙ্গে মিলে অধ্যয়ন ও জীবনচর্যার উদাহরণ বিশ্বভারতী। ভারত একমাত্র প্রধান দেশ যা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিক পথে এগিয়ে চলছে।
  • আত্মনির্ভর ভারত বিশ্বের কল্যাণে ভারতের মার্গ। এটা ভারতের সমৃদ্ধিতে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করার পথ। গুরুদেব আমাদের স্বদেশি সমাজের সংকল্প দিয়েছিলেন। তিনি আত্মনির্ভরতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তিনি আত্মনির্ভরতার জন্য আত্মশক্তির কথা বলেছেন।

  • ভারতের পরম্পরা, রাষ্ট্রবাদ প্রচার করেছে গুরুদেবের বিশ্বভারতী। ভারতমাতা ও বিশ্বের মেলবন্ধন এই বিশ্বভারতী
  • এবার পৌষমেলা হচ্ছে না। ১০০ বছরে এনিয়ে তিনবার বন্ধ থাকছে। পৌষমেলা আত্মনির্ভর ভারতের প্রতীক। বিশ্বভারতীয় পড়ুয়ারা শিল্পীদের পাশে থাকুন। তাঁদের তৈরি পণ্য সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করুন।
  • পড়া ও শেখার বিভেদ মুছে দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী।