কাঁথি, ১১ মার্চ: “রাস্তার ধারে খুঁটিতে লেগেই বিপত্তি। নন্দীগ্রামের মানুষ ষড়যন্ত্র জানে না। নন্দীগ্রামের মানুষ আন্দোলন করতে জানেন। নিরাপত্তারক্ষীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি আবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) আসুন।” বুধবার বিরুলিয়া বাজারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হওয়া হামলার অভিযোগকে এভাবেই নস্যাৎ করে দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। পড়ে যাওয়ার পর গাড়িতে উটে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পাঁচজন তাঁকে ভিড়ের সুযোগে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের সঙ্গে তাঁর অভিযোগের কোনও মিল পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। বিজেপি তখন মমতার আহত হওয়ার ঘটনাকে নাটক বলে অভিহিত করেছে। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ত্রুটি ছিল, জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা ANI-কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কেউ ধাক্কা বা ঠেলাঠেলি করেনি। উনি হাতজোড় করে আসেন। দরজা খুলেছিলেন। গেটের সামনে বসেছিলেন। পোস্টের সামনে দরজা লাগে। সেটাই তাঁর পায়ে লেগেছে। কেউ ঠেলেওনি, মারেওনি। দরজার কাছে কেউ ছিল না। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে গাড়ি থামারই কথা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা কেন ছিল না? ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দরকার। মুখ্যমন্ত্রী-ই যেখানে সুরক্ষিত নন, সেখানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কীভাবে হবে?”
এদিকে গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, হামলার খবর ছিল আগে থেকেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে টুইটে বিজেপিকে বুঝে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগামী ২ মে রবিবার পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। সেদিন বাংলার জনগণের শক্তি দেখার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করো বিজেপি।” বৃহস্পতিবার এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে বিরোধী গেরুয়া শিবিরকে এভাবেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা তৃণণূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।