গরমকালে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত শরীরের ক্লান্তি দূর করে দেয়, মনকে করে তোলে সতেজ এই প্রচন্ড দাবদাহে মধ্যে ঠান্ডা পানীয়র দিকের নজর চলে যায়। তবে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। তারা কি সব ধরনের শরবত খেতে পারবেন? এই নিয়ে তারা চিন্তায় থাকেন। জেনে নিন ডাইবেটিস আক্রান্তরা কি ধরনের শরবত খেতে পারবেন।

চিকিৎসক মহল বলছেন ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা শরবত পান করার ক্ষেত্রে দুটি জিনিস লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স(GI) এবং গ্লাইসেমিক লোড(GL)।

কি এই ক্লাসিকিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসমিক লোড? গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হলো খাবারে কোন খাবারে কত তাড়াতাড়ি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। জিআই স্কেলে ৫৫-র নিচে হলে নিরাপদ। গ্লাইসেমিক লোড হলো নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবারে রক্তে গ্লুকোজ বাড়াতে প্রভাব ফেলবে কতটা। জিএল ১০ বা তার কম হলে তাতে কোন বিপদ নেই বলে মনে করা হয়।।

বাজারের সফট ড্রিংস, প্যাকেটজাত ফলের জুস, চিনি মিশ্রিত শরবত এগুলোর ক্ষেত্রে জিআই এবং জি এল উভয় বেশি থাকে। এই ধরনের পানীয় রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুততা সাথে বাড়িয়ে দেয়। এই ধরনের পানীয় ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের সাবধানে থাকতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন তাদের এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলাই নিরাপদ।

হবে ডায়াবেটিস রোগীরা বেশ কিছু শরবত পান করতে পারবেন। যেগুলির জিআই কম। কাকরোল, লাউয়ের শরবত, করলার শরবত, আমলার শরবত এবং এলোভেরার শরবত তাদের জন্য উপযোগী। চেষ্টা করতে হবে এগুলি চিনি ছাড়া খেতে। এর পাশাপাশি লেবুর জলের শরবত, জল জিরা মিশ্রিত শরবত প্রচন্ড সুস্বাদু। চিনি ছাড়া তারা এটি পান করতে পারেন। শরীর ঠান্ডা রাখে এবং অন্যান্য দিক থেকেও শরীরকে অনেক উপকার দেয়। তবে টমেটোর শরবতও ভীষণ কার্যকরী। তাও পান করতে পারেন। গরমে টক জাতীয় এই শরবত শরীরে উপকারী। কাঁচা আমের শরবত এই সময় খাওয়া খুব ভালো। তবে কখনোই খালি পেটে এই ধরনের শরবত খাবেন না । এই ধরনের শরবত গুলি শরীরে উপকার তো হবেই পাশাপাশি হজম ক্ষমতা বাড়াবে। বিশেষ করে দুপুরে খাবার পর যদি জলজিরা মিশ্রিত এই শরবত খান তাহলে দারুন উপকার হবে।