
ভারতের বিভিন্ন রাজ্য গুলিতে ডাল চাষ হয়। ডাল চাষের সুবিধা হল জলজ কিংবা রুগ্ন সব ধরনের জমিতেই ডাল ফলানো যায়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও ডালের চাষ হচ্ছে। যারা নিরামিষভোজী তাদের কাছে প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডাল অন্যতম উপাদান। বাঙালির কাছে ভীষণ প্রিয় পোস্ত ভাত আর মুগের ডাল। তবে র প্রচলন প্রচুর। মসুর ডাল বাটা বড়া দিয়ে সুস্বাদু তরকারি তৈরি করেন অনেকেই। ধোঁকা তৈরি হয় ডাল দিয়েই।
কিন্তু জানেন কি? ভারতে এমন কিছু ডাল রয়েছে যা নিষিদ্ধ ছিল ৫০ বছর ধরে । যার প্রোটিন গুণ অসীম। তবে ৫০ বছর নিষিদ্ধ থাকলেও আবার ভারতের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই ডাল। ল্যাটাইরাস স্যাটাইভাসটাই প্রজাতির এই ডাল ভারতের গরিব মানুষরা খুব কম খরচেই প্রোটিনের যোগান হিসেবে ব্যবহার করতেন। তবে দিনের পর দিন এই ডাল খেলে প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এই ডালে রয়েছে নিউরোটক্সিন। ল্যাথাইরিসম রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাড়ের ক্ষয়ের ফলে অসাড় হয়ে যেতে শুরু হয় হাত-পা, শিরদাঁড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতি হয় স্নায়ুর। তাই ১৯৬১ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় দেশজুড়ে এই ডালের। নিষিদ্ধ হয় চাষের। তবে পরবর্তীকালে কম নিউরোটক্সিন যুক্ত বিভিন্ন ডাল বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন। ২০১৬ সালে খেসারির ডালের উপর থেকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ তাদের ব্যান তুলে নেয়। এই খেসারির ডাল বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। যা প্রোটিনে ভরপুর। তবে চিকিৎসকরা বলছেন কম পরিমাণে খেসারির ডাল খেতে বেশি পরিমাণে খেলে বিপদ হতে পারে।।