কলকাতা, ৩১ মে: আগামীকাল থেকে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সহ অন্য ধর্মীয়স্থান খোলার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। ৮ জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় স্থান খুলতে বলেছ কেন্দ্রীয় সরকারও। যদিও প্রার্থনার জন্য এখনই মসজিদ (mosques) খোলার পক্ষে নয় বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন (Bengal Imams' Association)। ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া (Mohammad Yahiya) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে সমস্ত ধর্মীয় স্থান ১ জুন থেকে খোলা হবে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। তাই আমরা কোনও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।"
সরকার বললেও মসজিদ এখনই না খোলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বলেন, "এটি আমাদের পরামর্শ যে পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে এখন যেমন চলছে তেমনই বাড়িতে প্রার্থনা করা আমাদের উচিত। আমরা মসজিদ কমিটি ও ইমামদেরও অনুরোধ করছি যাতে তাঁরা অবিলম্বে মসজিদের দরজা না খোলেন। এক মাস মসজিদ না খুললে কোনও ক্ষতি হবে না।" আরও পড়ুন: Unlock 1 Guidelines: ৮ জুন থেকে খুলছে সমস্ত ধর্মস্থান, হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিং মল
গতকালই কনটেনমেন্ট জোনে ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জারি থাকবে কারফিউ। ৮ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলবে ধর্মীয়স্থান (Religious Places)। ৩০ জুনের মধ্যে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এর বাইরে রাখা হচ্ছে কনটেনমেন্ট জোনকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া বাকি সব এলাকায় তিন ধাপে খুলে দেওয়া হবে সব কিছু। খুলবে হোটেল, শপিং মল, রেস্তঁরা। রাজ্যের অনুমতি পেলে তবেই খুলবে স্কুল, কলেজ, ও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ৮ জুন থেকে দেশের সমস্ত ধর্মস্থান খুলবে। প্রথম ধাপে ৮ জুন থেকে হোটেল, রেস্তরাঁ, শপিংমল, ধর্মীয় স্থান ও উপাসনা স্থান খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। সরকার জানিয়েছে যে এই বিষয়ে যা যা মানতে হবে সেনিয়ে তারা গাইডলাইন জারি করবে।