মুম্বই, ৪ মে: প্রথমে বেশ চড়া সুরে বলেছিলেন মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান বাজানো মহারাষ্ট্র সরকার থেকে বন্ধ না করলে তাঁর দলের কর্মীরা গিয়ে খুলে দেবে। এর জন্য ৪ মে পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ভেসে ওঠার চেষ্টায় লাউডস্পিকার বিতর্ক তুলে বাজার গরম করেছেন রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। কিন্তু এই ইস্যুতে মহারাষ্ট্র সরকার কড়া হতে এবং সেভাবে সমর্থন না মেলায় নিজের মন্তব্যটা ঘুরিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে।
রাজ বললেন, "আমি কিন্তু মসজিদে লাউডস্পিকার বন্ধ করতে বলিনি। আমি বলেছি অবৈধ লাউডস্পিকার নিয়ে। যেগুলো তারস্বরে বেজে মানুষের কাজে ক্ষতি করছে। শুধু মসজিদ কেন, বেশ কিছু মন্দিরেও অবৈধ লাউডস্পিকার বাজে। সেগুলোও খুলে নেওয়া উচিত। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা করে ধর্মীয় ইস্যু করবেন না, এটা সামাজিক সমস্যা।" অথচ ক দিন আগেই রাজ স্পষ্ট করেই বলেছিলেন, মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান বাজানো হলে তাঁরাও পাল্টা হনুমা চল্লিশা পাঠ করবেন। কিংবা মসদিজ থেকে লাউডস্পিকার খুলে নেবেন। আরও পড়ুন: গোয়া তৃণমূলের দায়িত্বে এবার কীর্তি আজাদ
দেখুন টুইট
It's not only about mosques, there are several temples where illegal loudspeakers are running. I have already made it clear that it's (illegal loudspeakers) not a religious issue but a social issue: MNS chief Raj Thackeray pic.twitter.com/mALQFfy0WF
— ANI (@ANI) May 4, 2022
এমনকী মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে এমএনএস-এর প্রধান পার্টি অফিসে লাউডস্পিকারে হনুমা চল্লিশা পাঠও হয়েছিল। এই কাণ্ডের জেরে এমএনএস কর্মীদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল। এরপরেও সুর চড়িয়ে রাজ ঠাকরে বলেছিলেন, মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার খোলা না হলে, তাঁরে জোর করে গিয়ে খুলে দেবেন।
রাজের এই মন্তব্যের মাঝে রাজ্যের নির্দল সাংসদ নবনীত রানা ও তাঁর বিধায়ক স্বামী রবী রানা হনুমা চল্লিশা বাজানো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জেলে গিয়েছেন। মারাঠা রাজনীতিতেও লাউডস্পিকার বিতর্ক সেভাবে হালে পানি পাচ্ছে না। আর তাই ইউ টার্ন করে অবৈধ লাউডস্পিকারের ঘারেই দায় চাপালেন রাজ।