রাজীব কুমার (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১৯ সেপ্টেম্বর : কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের (Rajeev Kmumat) খোঁজে শহরের নানা জায়গায় তল্লাশি CBI-র। কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, রাজীব কুমারের নাগাল পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে CBI। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে (DG) ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে CBI সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার ডিজিকে পাঠানো ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে চেয়েছে, এডিজি (সিআইডি) রাজীব কুমারের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করা যাবে? কোন নম্বরে তাঁকে ফোনে পাওয়া যাবে? বৃহস্পতিবার দুপুরে আলিপুরের IPS মেসসহ বিভিন্ন জায়গা, হাজরা এবং ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিটে রাজীবের সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা রাজীবের খোঁজে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।  পাশাপাশি রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়ে ফের নোটিশ ধরায় সিবিআই আধিকারিকরা। রাজীব কুমারের বাসভবনে গিয়ে ১৬০ সিআরপিসি ধারায় নোটিশ ধরানো হয়। তাতে অবিলম্বে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজীব কুমারকে। অন্য দিকে রাজীবের বাসভবনের সামনেও বাড়ছে সাদা পোশাকে থাকা কলকাতা পুলিশের সংখ্যাও। রীতিমতো দুর্গে পরিণত হয়েছে ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রিট।

বারাসত আদালত (Barasat Court) মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর আলিপুর আদালতের (alipur Court) মুখাপেক্ষি হতে হয় রাজীব কুমারকে (Rajiv Kumar)। বুধবার আলিপুর আদালতেরই দ্বারস্থ হন রাজীবের আইনজীবীরা (Lawyer)। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের (Ex Police Commissionar) আর্জি মেনে নেয় আলিপুর আদালত। আলিপুর আদালতের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, রাজীব কুমারের বক্তব্য (Statement) না শুনে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির (Aniticepatory Arrest Warrant) আর্জির মামলা (Case) শোনা হবে না। সিবিআইকে (CBI) একতরফা সুযোগ দিতে না চেয়ে বুধবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হন রাজীবের আইনজীবীরা। তাঁদের আবেদন ছিল, সিবিআই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানার আর্জি জানালে তাঁকেও যেন কিছু বলতে দেওয়া হয়। দু'পক্ষের কথা শুনেই যেন নির্দেশ দেয় আদালত। সেই আর্জি মেনে নেন বিচারক (Judge)। আইনজীবীদের কথায়, বারাসত আদালত থেকে জুডিসিয়াল রেকর্ড (Judicial Record) আসতে মোটামুটি ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। আরও পড়ুন : হলুদ গোলাপে বন্ধুত্বের বার্তার পর অমিত শাহকে NRC নিয়ে অভিযোগ মমতা ব্যানার্জি-র, রাজীব কুমারকে নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে জানালেন দিদি

বৃহস্পতিবার সকালে CBI-র একটি দল আলিপুর আদালতে কেস রেকর্ড পৌঁছেছে কি না, তার খোঁজ নেন। অন্য একটি দল বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোয়েন্দা প্রধান রাজীব কুমারকে খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই ১৪ জনের এক বিশেষ দল গঠন করেছে CBI। যে বিশেষ দলে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ ব্য়ুরো-র দক্ষ আধিকারিকরা আছেন। পাশাপাশি দুজন SP এবং দুজন DSP আছেন বলে খবর।