সায়ন্তন বসুকে চিঠি বিজেপির। Photo Source: Twitter

কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর: দলবিরোধী মন্তব্যের জের। শোকজ করা হল বিজেপির রাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে (Sayantan Basu)। শুধু সায়ন্তনকে একাই নয়। শোকজ করা হয়েছে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি (BJP) সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা (Gangaprasad Sharma) এবং নাগরাকাটায় মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতিকে (Santosh Hati)। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই সংবাদমাধ্যমের কাছে দলবিরোধী এবং নিম্নরুচির মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এদের প্রত্যেকের কাছেই লিখিতভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলবিরোধী এহেন ঘৃণ্য বক্তব্যের কারণ কী? সেই নিয়ে সাতদিনের মধ্যে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। যদি যথাযথ যুক্তিসম্পন্ন কৈফিয়ত না মেলে, তাহলে তিনজনের বিরুদ্ধেই কড়া শাস্তি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী কারণে তিন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটি চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, তৃণমূল ছেড়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি যখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছেন। ঠিক সেই সময়ই জিতেন্দ্রর সম্পর্কে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করে বসেন সায়ন্তন বসু। গত ১৮ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী এবং নিম্নরুচির মন্তব্য করেছেন। এটি দলের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী। পরে অবশ্য দলের অন্দরে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে তৃণমূলের থেকে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষ। মন্তব্য করেছিলেন অগ্নিমিত্রা পালও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, সায়ন্তন বসুকে নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয় এবং অগ্নিমিত্রা পালকে সতর্ক করল দলীয় নেতৃত্ব।

অমিত শাহর সভায় আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে, আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত ও দলের জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি বাপ্পা মজুমদার। ১৯ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার নেতৃত্বে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভাতেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, 'এখন জেলায় কোনও পদে খালি নেই। এদের পদ দেওয়া যাবে না।'

অন্যদিকে নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুণ্ডা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দলবদল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন নাগরাকাটায় মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতি। রাজ্য বিজেপির তরফে শোকজ করে জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে সন্তোষ হাতিকেও।