চলতি বছরের প্রথমদিকে প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠেছিল সন্দেশখালি। ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলার পর যখন স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়ে ওঠে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তখন সেখানকার মহিলারা শাহজাহান সহ স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর গর্জে ওঠে। তাঁদের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার পর কয়েকমাস পর অবশেষে গ্রেফতার হয় শাহজাহান ও তাঁর সঙ্গীরা। সেই সময় বা তাঁর কয়েকমাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) পা মাড়াননি সন্দেশখালিতে। তবে বর্ষশেষের আগে অবশেষে সন্দেশখালি যাচ্ছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য্য (Samik Bhattacharya) বলেন, সন্দেশখালিতে যে প্রতিবাদ হয়েছিল, সেখানে প্রতিবাদী মহিলারা সকলেই ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন না। এদের মধ্যে অনেকের বাড়িতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল, বাড়ির দেওয়ালে তৃণমূলের পোস্টার ছিল। এদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা ঢুকত। ফলে যখন সন্দেশখালি অশান্ত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী কোথায় ছিলেন? লোকসভায় বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তো তৃণমূল জিতেছে, তবে সন্দেশখালিতে বিজেপি লিড নিয়েছিল। তবে এখন গিয়ে তৃণমূলের কোন লাভ হবে? যা হওয়ার তো হয়ে গিয়েছে।