
দুনিয়ায় সবাই জানেন দুধ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করার পরামর্শ দেন বাড়ির বয়স্করা। বেশিরভাগ মানুষ ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করেন। দুধ সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলির মধ্যে একটি। দুধ ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস। এটি হাড়কে শক্তিশালী করে এবং ক্যান্সার, আর্থ্রাইটিস, মাইগ্রেন, রক্তচাপ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে যে দিনে কতটা দুধ পান করা উচিত এবং কখন দুধ পান করার সেরা সময়।
এক কাপ দুধে রয়েছে ১৪০ গ্রামের বেশি ক্যালোরি, ৫ গ্রামের বেশি প্রোটিন, ৫ গ্রামের বেশি ফ্যাট, ১০ গ্রামের বেশি কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রামের বেশি চিনি, ৩০০ গ্রামের মতো ক্যালসিয়াম, ৩০০ গ্রামের বেশি পটাশিয়াম, ২৪০ মিলিগ্রামের বেশি ফসফরাস, ১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক, ২০০ গ্রামের বেশি জল। এছাড়া দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২ এবং রিবোফ্লাভিন। দুধ পান করলে মন আরও তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে, চুল মজবুত হয়, দাঁত হাড় ও পেশী শক্ত হয়, মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া ভালো ঘুম হয় এবং ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
বয়স, ওজন, উচ্চতা এবং শরীরের চাহিদা অনুসারে দুধের পরিমাণ ঠিক করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তির ১৫০ থেকে ২০০ মিলিলিটার দুধ পান করা উচিত। একজন সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ৩ কাপ (প্রায় ৭৫০ মিলি) দুধ পান করা উচিত। শিশুদের দিনে ২-৩ কাপ অর্থাৎ ৪০০-৫০০ গ্রাম দুধ পান করা উচিত, এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ভালো থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ঘুমানোর প্রায় এক ঘন্টা আগে দুধ পান করা ভালো, এর ফলে হজম ব্যবস্থা উন্নত হয় এবং অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। রাতে হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করা বেশি উপকারী।