
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ক্লাসরুমে বেঞ্চে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ছাত্রী। আর সেই সুযোগে কারণে সহপাঠীরা ছুড়ল ইচিং পাউডার (Itching Powder)। আর এই ঘটনায় তাঁদের সাহায্য করেছেন খোদ শিক্ষক। সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে কেরলের (Kerala) কোচিতে অবস্থিত একটি সরকারী উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুলে। আর এই ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই ছাত্রী। সামনেই পরীক্ষা, তাঁর আগে এই অবস্থা হওয়ায় অসুস্থ ছাত্রী পড়াশুনো করতে পারছেন না। সেই কারণে ছাত্রী ও তাঁর পরিবার স্থানীয় থানায় দায়ের করেছে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
সহপাঠীদের অত্যাচারে অতিষ্ট ছাত্রী
জানা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। অভিযোগ ইচিং পাউডার গায়ে লাগার কারণে চুলকানী শুরু হয় ওই ছাত্রীর শরীরে। এমনকী গোপনাঙ্গেও সেই পাউডার ছড়িয়ে পড়ে। ক্লাসের শিক্ষককে সে প্রথমে অভিযোগ জানায়, কিন্তু সে উল্টে তাঁর ঘুমোনো স্বভাব পরিবর্তনের কথা বলেন এবং অভিযুক্ত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানায় নির্যাতিতা
তারপর বাড়ি ফিরে অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। এরপর চিকিৎসার পর অবশ্য তিনি সুস্থ হয়ে পড়ে ঠিকই। কিন্তু শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায় সে। আর তারপর বাকি পরীক্ষা দিতে পারে না। আর সেই কারণে গত শনিবার ইনফোপার্ক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে ও পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের অধীনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।