কলকাতা, ১০ অক্টোবর: ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে গানের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অসুস্থ সংগীত শিল্পী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। আর তাঁর এই অসুস্থতার জেরে আরও এক বার যাদবপুর-কাণ্ড মাথাচাড়া দিল। মাথায় যন্ত্রণার জেরে ক্যালিফোর্নিয়ার (California) হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই এই যন্ত্রণা শুরু হয়েছে বলে সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন বাবুল। ফেসবুক (Facebook) পোস্টে তিনি লিখেছেন, গত ৫ দিন ধরে মাথার খুলির ভিতরে যন্ত্রণা অনুভব করছি। বাঁ কানের উপরের দিক থেকে বাঁ চোখের মণির পিছন পর্যন্ত তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে। স্ত্রী ও পরিজনরা জোর করে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।" যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে "মারধরের" জেরেই এই অসুস্থতা বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
ফেসবুক পোস্টে বাবুল লিখেছেন, "ক্যালিফোর্নিয়ার হাসপাতালে রয়েছি। বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। MRI করা হয়েছে। নিউরোলজিস্ট দেখছেন। বাঁ চোখের মণির পিছনে, কান পর্যন্ত যন্ত্রণা হচ্ছে। এজন্য রোজ মাথাব্যথা হয়। আধুনিক বাংলার তথাকথিত পড়ুয়াদের আক্রমণেই এই আঘাত লেগেছে। কালো পতাকা লাগানো লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। এসএফআই (SFI)-নকশাল বলে যাঁরা নিজেদের বড়াই করেন, তাঁরাই সেদিন ধাক্কা মেরেছেন।" বাবুল আরও লেখেন, "আমাদের গুরুত্ব সহকারে ভাবা দরকার কীভাবে বাইরের গুন্ডারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করল। আমাদের ভাবা দরকার, রাজনীতির জন্য নয়, শিক্ষার জন্য।" তবে পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই সেটি ডিলিট করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আরও পড়ুন: পুজোয় বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৫ আরোহীর
৫ অক্টোবর অর্থাৎ মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় লস অ্যাঞ্জেলেসে (Los Angeles)অনুষ্ঠান ছিল বাবুলের। রবিবার আবার বাবুলের অনুষ্ঠান রয়েছে লন্ডনে। সেখানে হ্যারো মিউজিক ফেস্টিভ্যালে গান গাইবেন তিনি। কিন্তু এ সবের মাঝেই ঘটেছে বিপত্তি। লস অ্যাঞ্জেলেসের অনুষ্ঠান ভালোভাবেই মিটে গেছে। কিন্তু মাথায় যন্ত্রণার জেরে তাঁকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, "আমি জানি না কী রেজাল্ট হবে। তবে অবশ্যই সেটা জীবন সংশয় করবে না। কিন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা ঢুকে যে শিক্ষার পরিবেশ ধংস করছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।" পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নাম না করে তিনি বলেন, "শিক্ষাক্ষেত্রে পলিটিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট একেবারেই বন্ধ করা উচিত। ভালো ফুটবলার হলে কাউকে যেমন ভালো কোচ হওয়ার প্রয়োজন লাগে না। সেরকমই ভালো প্রফেসর হলেই তিনি ভালো প্রশাসন সামলাতে পারবেন বা দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবেন কোনও কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে, এমনটা নাও হতে পারে। শিক্ষাক্ষেত্রের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের আরও শক্ত হওয়া উচিত।" এদিকে বাবুলের ফেসবুক পোস্টের পরই তাঁকে নিয়ে ট্রোলড শুরু হয়। এ বিষয়ে তিনি লেখেন, "কয়েকজন বোকা আমাকে নিয়ে ট্রোলড করছেন যে আমি নাকি সরকারি টাকায় নিজের চিকিৎসা করাতে গেছি। আমি আমেরিকা ও লন্ডনে দুটি শো করতে এসেছি। আসলে যন্ত্রণাটা ৫ দিন ধরে অসহ্য হয়ে ওঠে। আমার স্বাস্থ্যবীমা আছে। আমার স্ত্রী ও বন্ধুরা আমাকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।"