মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী (Picture Credits: Facebook)

নন্দীগ্রাম, ৩০ মার্চ: মাঝে আর মাত্র একদিন, তারপরেই ১ এপ্রিল রাজ্যের দ্বিতীয় দফা বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগে এবারের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম দেখল শুভেন্দু মমতার তু তু ম্যায় ম্যায় অবস্থা। সোমবার দিনভর নন্দীগ্রামের এক ও ২ নম্বর ব্লকে চষে বেরালান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও শুভেন্দু অধিকারী। তারপর সুযোগ সুবিধামতো দুজন দুজনকে আক্রমণও করলেন। মমতা বললেন, “একদিন এমন অবস্থা হবে, না ঘরকা থাকবে না ঘাটকা হয়ে যাবে। সেদিন বুঝতে পারবে কী করেছে।” শুভেন্দুও কম যান না। একদা সহযোদ্ধো তথা দলনেত্রীকে বললেন, “উনি ফেরেব্বাজ ফোর টুয়েন্টি।” দুজনেই জানেন নন্দীগ্রামের ভোট রাজনীনিতে ধর্মীয় মেরুকরণ করা হচ্ছে, তবে কেউই তা মুখে বলতে নারাজ। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বয়াল, আমদাবাদ, বিরুলিয়া, ভাটুরিয়া, দিনভর যখনই মাইকে হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী তখনই রাজনৈতিক সভার থেকে অনেকে বেশি প্রতি আক্রমণ মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু আক্রমণেই থেমে থাকেননি, প্রচারে বেরিয়ে যে বারবার বিরুদ্ধতার মুখে পড়তে হচ্ছে, বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই অসন্তুষ্টি কিন্তু তাঁরা জমিয়ে রেখেছেন ভোট মিটলেই জবাব দেবেন। এনিয়ে মমতা বলেন, “আমরা খেলা খেলি ভদ্র ভাবে। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ লাগতে এসো না। আমাকে আঘাত করলে আমি আগুনের মতো ঝরে পড়ি, সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ি।” শুভেন্দু বললেন, “সে দিন আমি এক ভাইয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলাম এই ভেটুরিয়ায়। যারা পাকিস্তান খেলায় জিতলে বাজি ফাটায়, তারা খুব সে দিন লম্ফঝম্প করেছিল। আমি ছবি তুলে রেখেছি। ১ তারিখ ভোট মিটে গেলে আমি ২ তারিখেই আসব। এসে মিষ্টি খাইয়ে যাব ওদের।”শুভেন্দুর বাঁকা হাসি বলে দিচ্ছিল নন্দীগ্রামে গেরুয়া ঝড় শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের নিস্তার নেই।

সোমবার প্রচারের ময়দানে নেমে বার বার নিজেক ভূমিপুত্র ও মমতাকে বহিরাগত দাবি করে ভোটের বাজারে বাড়তি আকর্ষণ পেতে বদ্ধপরিকর ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর জবাবে মমতা বলেন, “আমি বাইরের মেয়ে? তুই ব্যাটা কোনও হরিদাস কাঁথির ছেলে, কী করে বেড়াস? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? তুই কী করে ভূমিপুত্র হলি? তোর তো এখানে ভূমিও নেই, জমিও নেই। তুই তো দালালি করে গেছিস। আগে সিপিএমের দালালি করেছিস, এখন বিজেপি-র দালালি করছিস। কী দিইনি তোকে?” সোমবার এই দুই হেভিওয়েটের সৌজন্য ১ এপ্রিলের মহারণের আঁচ দেখল নন্দীগ্রাম।