নন্দীগ্রাম, ২৯ মার্চ: নন্দীগ্রামে প্রচারের ময়দান থেকে ফের নাম না করে শুভেন্দুকে খোঁচা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে জিততে শুরু করল। অতি লোভে তাতি নষ্ট এমন একদিন আসবে না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে ঘুরে বেড়াবে। এত বড় সাহস আমি নন্দীগ্রামে আসছি বলে, ওরা বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে আসছে। যদি ধরে দিতে পারেন কোন গুন্ডারা টাকা দিচ্ছে, তাহলে পুরস্কৃত করব। নরেন্দ্র মোদি ১৫ লাখ টাকা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেবে বলেছে দিয়েছে? আমি বিনা পয়সায় চাল দেব। আর নরেন্দ্র মোদির ২ হাজার টাকার গ্যাসে চাল ফোটাবো। আগে বিজেপিকে ফোটান। আমি যদি বিনা পয়সায় চাল দিতে পারি তাহলে মোদিকেও বিনা পয়সায় গ্যাস কেরোসিন দিতে হবে।” আগামী দিন আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে বিধবা ভাতা সবাই পাবেন। ১৮ বছর বয়স থেকে যেকোনও বিধবা ভাতা পাওয়ার অধিকারী। কোনও ভাগাভাগি নেই। সবার জন্য সুবিধা রয়েছে।” আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ভারতে করোনার কাঁটা, নতুন সংক্রামিত ৬৮ হাজার ২০ জন
“বিজেপিকে ভোট দিলে বহিরাগত গুন্ডা এসে বাংলাকে দখল করে নেবে। আপনাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাড়ি বসে রেশন পাবেন বিনামূল্যে। কৃষকরা ১০ হাজার করে কৃষকবন্ধুর টাকা পাবেন। দিঘাতে বন্দর হচ্ছে ৫০ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেওয়া হবে। নিজেদের মতো পড়াশোনা করবে তারা। চিন্তা করবেন না, আমাকে বলতে হয় না। আমি নিজে থেকে কাজ করি। আমি এখান থেকেও যদি আপনাদের দ্বারা নির্বাচিত হই তাহলে নন্দীগ্রামে আমার অফিস হবে। সেখান থেকে উন্নয়ন হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে খেলা হবে। যারা গণহত্যা করল, তারা আজ ভোট চাইতে আসছে। খেলা হবে খেলায় জিততে হবে। ১ এপ্রিল এমন করে খেলুন যাতে সারা বিশ্ব যেন নন্দীগ্রামকে মনে রাখবে। গ্রাম বাংলাকে লুট করতে দেবেন না। বিজেপির কথা শুনে কাজ করবেন না। ৩০টি ভোট কাউন্ট হওয়ার পর মেশিন দুবার অফ ও অন করবেন নাহলে বিজেপি ভোট কেড়ে নেবে। কাউন্টিংয়ের দিন কারোর কাছে বিড়ি সিগারেট খাবেন না। কারোর হাতে মেশিন ছাড়বেন না। কে কোথায় টাকা খাচ্ছে, বোঝা যাচ্ছে না। ভয় তারাই দেখায় যারা ভয় পায়। সব্বাই মিলে জোট বেঁধে বেরিয়ে আসবেন। ভোঁতা বন্দুকের দাম নেই। মুঙ্গের থেকে বন্দুক কিনে এনেছে। লড়ে নেওয়ার নাম নন্দীগ্রাম। ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবনাকো নন্দীগ্রাম। ভূমি আন্দোলনের নাম নন্দীগ্রাম। এটি আন্দোলনের ভূমি। নন্দীগ্রামের মাটিতে লড়াইকে স্যালুট জানাতে চাই। তাই এখানে ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমি কথা দিলে, কথা রাখি। দাঁড়াব এখানে, জিতব এখানে, সরকার গড়ব এখানে। বিজেপি বলছে হরে কৃষ্ণ হরি হরি পিছনে থেকে ডাকাতি করি।”