নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়। বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি এড়াতে বন্ধ ইন্টারনেট। ছাত্রদের উপরে পুলিশি হামলার ঘটনা বর্তমান, সেই সময় এই জ্বলন্ত দুই ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। কলকাতায় সিএএ বিরোধী জনসমাবেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গণভোটেরও দাবি তোলেন মমতা ব্যানার্জি। এই গণভোটের দায়িত্বই রাষ্ট্রপু্ঞ্জকে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। আর তানিয়েই বিরোধ চরমে উঠল। যদিও নিজের বক্তব্যের মর্মার্থ উপলব্ধি করে পরের দিনই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তৃণমূল নেত্রী। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। এদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ ডামাডোলে রাষ্ট্রপুঞ্জকে জড়ানোর কারণে আজ সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে পিটিশিন দাখিল করা হল।
আবেদনে স্পষ্ট জানানো হয়েছে মমতা ব্যানার্জি যেন কোনওভাবেই আর মুখ্যমন্ত্রীর পদে না থাকতে পারেন। রাজ্যাপাল যেন সেই দিকটা দেখেন। অর্থাৎ মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর দায়িত্ব যেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর নেন।। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী সংঘাত ক্রমাগত চরম আকার ধারণ করছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক রাজ্যপালের হেনস্তা থেকে শুরু করে বিধানসভায় রাজ্যপালের আগমনে বাধা, ও রাজ্যাপালের পাল্টা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক বাড়ছেই। এর আগে পুজোর কার্নিভালে রাজ্যপালকে অসম্মান করা হয়েছে বলেও জগদীপ ধনখরতোপ দাগেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে রাজপথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। এরমধ্যেই চলে এল পিটিশনের প্রসঙ্গ। আরও পড়ুন-Dilip Ghosh: 'কমিউনিস্টরা এমন মার আরও খাবে', জেএনইউর হামলাকারীদের সমর্থন করে পাল্টা হুমকি দিলীপ ঘোষের
A petition has been filed today in Supreme Court seeking a direction to West Bengal Governor, to remove state Chief Minister Mamata Banerjee for "demanding UN-monitored referendum on Citizenship Amendment Act (CAA)".
— ANI (@ANI) January 6, 2020
জানা গিয়েছে, বারাকি নামের কোনও এক সাংবাদিক নাকি সুপ্রিম কোর্টের এই পিটিশন দাখিল করেছেন। তবে এই আবেদনে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিতে হয়েছে। এদিকে সিএএ ও এনআরসি-র গণপোট নিয়ে তিনি যে রাষ্ট্রপুঞ্জের তত্ত্বাবধান দাবি করলেন ,তা কিন্তু দেশের সংবিধান বিরোধী। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ চেয়ে সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করেছেন মমতা ব্যানার্জি। সাংবিধানিক নিয়ম ভাঙার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।