
নতুন দিল্লি, ২৯ এপ্রিল: গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের পেহলগামের বৈসারণে জঙ্গি হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৬ জন পর্যটক। এই জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ভূমিকা খুবই স্পষ্ট। দেশজুড়ে দাবি উঠেছে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করার। প্রত্যাঘাত হানার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে 'পূর্ণ স্বাধীনতা' দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীর হামলার পর, কীভাবে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করা হবে, সেই গুরুত্বপূর্ণ রোডম্যাপ তৈরি নিয়ে বৈঠক চলল বেশ কিছুক্ষণ। পাকিস্তানকে কোনওভাবেই ছেড়ে কথা বলা হবে না, তা নিয়ে সবাই একমত।
কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা
কখন, কোথায়, কীভাবে হামলা করা হবে তা ভারতীয় সেনাবাহিনী ঠিক করবে বলে সবুজ সঙ্কেত দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে মোদী পুরোপুরি দেশের সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা দেখালেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা অজিত দোভাল, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান অনিল চৌহান সহ উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা।
সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রধানমন্ত্রীর
Just in | 'Armed forces have complete operational freedom to decide response,' says #PMModi at security meet
Read more here:https://t.co/aiJg5jls73
— The Indian Express (@IndianExpress) April 29, 2025
প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে দেশ
আজ, মঙ্গলবার দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, এবং প্রতিরক্ষাবাহিনীর নানা বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ ভারত তাদের দেশে ঢুকে আক্রমণ করবেই এমন আশঙ্কা করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। পহেলগামে জঙ্গি হানার পর পাকিস্তানের ওপর দেশবাসীর ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। জল বাতিল চুক্তি, পাকিস্তানের নাগরিকদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ, পাকিস্তানের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে আনা সহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু তাতেও শোধের আগুন কমেনি।