সান ফ্রান্সিস্কো, ৩১ অক্টোবর: বিশ্বব্যাপী সমস্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন (Political Ads) বন্ধ করার কথা ঘোষণা করল টুইটার (Twitter)। এই ঘোষণা করে টুইট করেছেন এই সোশাল সাইটের CEO জ্যাক ডরসে (Jack Dorsey)। তিনি লেখেন, "রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছোনো কেনার বদলে অর্জন করা উচিত।" তিনি লেখেন, "যদিও ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী এবং কার্যকর, তবে এই শক্তি রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি আনে।" আগামী বছর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই এই নিষেধাজ্ঞা সিদ্ধান্তে দ্বিধাবিভক্ত আমেরিকার রাজনীতিবিদরা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের দায়িত্বে থাকা ব্র্যাড পার্সকেল বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বামেদের দ্বারা ট্রাম্প এবং কনজ়ারভেটিভ দমিয়ে রাখার আরও একটি চেষ্টা।" তবে ডেমোক্র্যাটদের প্রচারের বিভাগের মুখপাত্র বিল রুশো অন্য মত দিয়েছেন। তাঁর দাবি, "যখন বিজ্ঞাপন এবং আমাদের গণতন্ত্রের অখণ্ডতাতে বেছে নিতে হয়, তখন একবারের জন্য হলেও টাকার কাছে হারতে রাজি নয়।"
টুইটার জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ২২ নভেম্বর থেকে কার্যকর করা হবে। ১৫ নভেম্বর এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবরম দিয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে। ডরসের টুইটগুলির একটি সুত্রে তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করেছিলেন। তিনি লেখেন, "আমরা বিশ্বব্যাপী টুইটারে সমস্ত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছোনো উচিত, কেনা উচিত নয়।" আরও পড়ুন: Facebook: ডেডিকেটেড 'নিউজ ট্যাব' পরীক্ষামূলকভাবে চালু করল ফেসবুক
এই বিষয়ে কয়েকটি কারণের কথাও উল্লেখ করেছেন ডরসে। তিনি লিখেছেন, "যখন কোনও অ্যাকাউন্ট ফলো বা রিটুইট করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন একটি রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছোয়। টাকা দেওয়াক কারণে লোকেরা রাজনৈতিক বার্তাগুলি দেখতে বাধ্য হয়। আমরা বিশ্বাস করি শুধুমাত্র অর্থের জন্য আপস করা উচিত নয়।" তিনি লেখেন, "যদিও ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনদাতাদের পক্ষে অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী এবং কার্যকর। সেই শক্তি রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি নিয়ে আসে। যেখানে এটি লাখ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে, ভোটকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলি কেবলমাত্র রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নয়, সমস্ত ইন্টারনেট যোগাযোগকে প্রভাবিত করবে। অতিরিক্ত বোঝা এবং জটিলতায় সময় না ব্যয় না করে মূল সমস্যাগুলিতে আমাদের ফোকাস করতে হবে। না হলে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ধাক্কা খাবে।"