ভারতের প্রাক্তন তারকা পেসার জাহির খানের (Zaheer Khan) আজ ৪১তম জন্মদিন। ভারতীয় ক্রিকেটে জাহির খানের অবদান চিরস্মরণীয়। ভারতীয় ক্রিকেটে তো বটেই বিশ্ব ক্রিকেটেও জাহিরের মত সাফল্য খুব কম বোলারই পেয়েছেন। দেশের স্পিন সহায়ক পিচে খেলে বড় হয়ে ওঠা জাহিরের বোলিংয়ে ছিল স্যুইং, পেস। ইয়র্করে ছিলেন মাস্টার। জাহির খান আসলে নস্টালজিয়ার অপর নাম। সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে মহেন্দ্র সিমং ধোনি। দেশের সেরা দুই অধিনায়কের দলের বোলিং ইউনিটে জাহিরই ছিলেন ম্যাচ উইনার।
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলির অধিনায়কত্ব খেলে হারের জ্বালাটা জাহির ৮ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে পুষিয়ে নিয়েছিলেন। ১৪ বছরের বর্ণময় কেরিয়ারে জাহির শেষ ম্যাচ খেলেন ২০১৪ সালে ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। জাহিরকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন- ভিভিএস লক্ষ্মণ থেকে হরভজন সিং, রবীচন্দ্রন অশ্বিন-রা। আরও পড়ুন-১১ সদস্যর বদলে ৩ ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রকে মুক্তি দিল তালিবান
আসুন জাহিরের জন্মদিনে আরও একবার মনে করে নেওয়া যাক তাঁকে নিয়ে জানা অজানা পাঁচ তথ্য-
১) টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টেই জাহির খান (Zaheer Khan) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন। টেস্ট অভিষেকের মাসখানেক আগে জাহির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০০০ সালে অক্টোবরে কেনিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল জাহিরের। জাহিরের সঙ্গে একই ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় যুবরাজ সিং ও বিজয় দাহিয়া-র।
২) ২০০০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিষেক টেস্টে জাহিরের প্রথম শিকার ছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার মেহরাব হোসেন।
৩) ব্যাটের হাতটা নেহাত মন্দ ছিল না জাহির খানের। একবার দশম উইকেটে সচিন তেন্ডুলকর-জাহির খান জুটি ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। জাহির সেই ম্য়াচে করেছিলেন ৭৫ রান। সেই সময় এগারো নম্বরে ব্য়াট করতে নামা কোনও ব্যাটসম্যান হিসাবে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।
৪) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা তারকা ওপেনার গ্রেম স্মিথকে মোট ১৪ বার আউট করে নজির গড়েন জাহির।
৫) ২০০৮ সালে উইজডন-এর বিচারে বর্ষসেরা ক্রিকেটার জাহির খান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬১০টি উইকেট সংগ্রহ করেন। আইসিসি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার নজির জাহির (২৩ ম্য়াচে ৪৪ উইকেট)-এর দখলে।