সর্বোচ্চ স্কোর। দ্রুততম শতরান। প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে তিনটি শতরান। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষবার একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩০০-র বেশি রানের রেকর্ড গড়ে। এছাড়া যেখানে এডেন মার্করাম (Aiden Markram) ৪৯ বলে, কুইন্টন ডি কক (Quinton de Kock) ৮৩ বলে ও রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের (Rassie van der Dussen) ১০৩ বলে শতরানের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২৮ রান সংগ্রহ করে। প্রথম ওভারেই টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma) একটি বাউন্ডারি মারলেও তিনি ৮ রান করেই ফিরে যান। এরপর ফান ডার ডুসেন এবং ডি ককের সঙ্গে ২০৪ রানের জুটি গড়ে দিল্লি উত্তাপের মধ্যেও শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলে দেন। ৩১তম ওভারে ডি কক যখন শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এবং পরের বলেই আউট হন, তখন শ্রীলঙ্কা কিছুটা স্বস্তি বোধ করে ঠিকই। এরপরই আসে ভ্যান ডার ডুসেনের শতক। মাঠে এরপর মার্করাম এলে গড়েন রেকর্ডের ঝুলি, যা তাকে কেভিন ও'ব্রায়েনের (Kevin O'Brien) দ্রুততম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি ভেঙ্গে ৪৯ বলে শতক করেন। BAN vs AFG, CWC 2023: আফগানদের উড়িয়ে বিশ্বকাপে দারুণ শুরু বাংলাদেশ, ৯২ বল বাকি থাকার নজির গড়া জয় সাকিবদের
A stellar batting performance helps South Africa to a massive win in their #CWC23 clash against Sri Lanka 💪#SAvSL 📝: https://t.co/4jtdv0GMD8 pic.twitter.com/iwUmFw6Sg9
— ICC (@ICC) October 7, 2023
অন্য প্রান্তে হেনরিক ক্লাসেন (Heinrich Klaasen) তাঁর সঙ্গে যোগ দেওয়ায় মাঝমাঠে মার্করামের আগ্রাসী পন্থার বৈধতা মেলে। মাত্র ৩৫ বলে ৭৮ রান যোগ করে। ক্লাসেন ডুনিথ ওয়েলালাগে (Dunith Wellalage) ও কাসুন রাজিথের (Kasun Rajith) বিপক্ষে ২০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর মিলার এলে পরের ওভারে ২৬ রান দেন মাথিশা পাথিরানা। যার অর্থ ছিল যে, পাথিরানা ৯৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কানদের দ্বারা সবচেয়ে অলাভজনক বোলিং পরিসংখ্যানের তালিকায় নিজেকে দ্বিতীয় স্থানে পেয়েছেন। এরপর মধুশঙ্কা এসে মার্কারামের একটি দুর্দান্ত ইনিংসের সমাপ্তি ঘটান। কিন্তু শেষ দুই ওভারে ডেভিড মিলার ও মার্কো জ্যানসেন ৩২ রান যোগ করায় দক্ষিণ আফ্রিকা ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে কুশল মেন্ডিসও কম যাননি। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিং কয়েক মুহূর্তের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকেও বিপাকে ফেলে দেয়। টার্গেটটা যত বড়ই হোক ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান পাওয়ারপ্লেতে ৮টি ছক্কার পাশাপাশি ৪টি চার মারেন। ৭৬ রানে কাগিসো রাবাডার (Kagiso Rabada) এক্সট্রা-বাউন্সিং ডেলিভারিতে তিনি আউট হলে প্রোটিয়ারা স্বত্বির নিঃশ্বাস ফেলে। ১৩তম ওভারে ২ উইকেটে ১০৯ রান থেকে শ্রীলঙ্কা দ্রুত উইকেট হারিয়ে স্কোর ৫ উইকেটে ১৫০ রানে সমস্যায় পড়ে। ষষ্ঠ উইকেটে শানাকা-চরিথ আসালাঙ্কা (Charith Asalanka)০ ৮২ রান যোগ করে এবং জেরাল্ড কোয়েত্জির (Gerald Coetzee) ওভারে শানাকার ২৩ রানও ছিল অনবদ্য। এইসময় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কেশব মহারাজ ৬২ রানে ২ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কা দল ৩২৬ রানে অল-আউট হয় এবং ১০২ রানে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে। শ্রীলঙ্কা শূন্য পয়েন্ট পেলেও বিশ্বকাপের দুর্দান্ত খেলায় অংশ নেয়।