ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ হল বাংলাদেশের। শনিবার ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৯২ বল বাকি থেকে ৬ উইকেটে অনায়াসে জয় পেল সাকিব আল হাসানের দল। ২০১৫, ২০১৯-র পর ২০২৩ বিশ্বকাপেও জয় দিয়ে শুরুটা হল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী বল হাতে রেখে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ডাচদের বিরুদ্ধে ৫২ রানে জয়টাই ছিল রান তাড়া করে সাকিবদের সবচেয়ে অনায়াসে জয়। ক দিন আগে এশিয়া কাপে আফগানদের উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ধর্মশালাতেও তেমন হল। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে-সব বিভাগেই রশিদদের টেক্কা দিলেন সাকিবরা।
অন্যদিকে, দিল্লিতে বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে টানা ১৩টি ম্যাচে হারের লজ্জার নজির গড়ল আফগানরা। এশিয়া কাপে সব কটা ম্যাচে হেরেছিলেন আফগনারা। তার আগে পাকিস্তান সফরে গিয়েও সব কটা ম্যাচে হেরে এসেছিলেন আফগানরা। আরও পড়ুন-২৮টি সোনা ১০৭ পদকে এশিয়াডে ঐতিহাসিক সাফল্য ভারতের
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খানরা মাত্র ১৫৬ রানে অল আউট হয়ে যান। সাকিব-মিরাজেস্পিনে আফগান মিডল-লোয়ার অর্ডার তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছিল। ২ উইকেটে ১১২ রান থেকে ৬ উইকেটে ১২৬ হয়ে যায় আফগানদের। সেই ধাক্কা আর রশিদরা সামলাতে পারেনিন। সাকিব ৩০ রান দিয়ে তিনটি, ও মিরাজ ২৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান (৫) ও লিটন দাস (১৩) দ্রুত আউট হয়ে গেলেও তৃতীয় উইকেটে মেহদি হাসান মিরাজ-নাজমুল হোসেন শান্তো ৯৭ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে জিতিয়ে আনেন। মেহদি (৫৭) ও নাজমুল (৫৯ অপরাজিত) দু জনেই দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন। বল হাতে প্রথমে তিন উইকেট ও পরে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হলেন মেহদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, চেন্নাইয়ে। আফগানরা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে নামবেন বুধবার দিল্লিতে, ভারতের বিরুদ্ধে।