দৃকপঞ্জিকা অনুসারে দক্ষিণ ভারতে হিন্দু ক্যালেন্ডারের মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবরাত্রি পালন করা হয়। উত্তর ভারতে অবশ্য মহাশিবরাত্রির তিথি নির্ধারণের পদ্ধতিটি একটু অন্যরকম। উত্তর ভারতে ফাল্গ‌ুন মাসের মাসিক শিবরাত্রি মহাশিবরাত্রি নামে পরিচিত। শিবরাত্রি কথাটি এসেছে শিব ও রাত্রির সমন্বয়ে। অর্থাত্‍ যে রাত শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত।

পুরাণে তিনটি কাহিনীর উল্লেখ পাওয়া যায়৷ প্রথমত, বলা হয় এ দিনেই শিবকে স্বপ্নে পেয়েছিলেন পার্বতী৷ আবার এদিনেই নাকি পার্বতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মহাদেবের৷ তাই মহা-আড়ম্বরের সঙ্গে হিন্দুরা এই দিনটিতে মহাদেবের পুজো করেন৷ এই কারণে নেপালে মহাশিবরাত্রির তিন দিন আগে থেকেই মন্দিরগুলোকে সাজানো হয়। পার্বতী এবং শিবের মূর্তিকে বর কনে সাজিয়ে ঘরে-ঘরে ঘোরানো হয়। মহাশিবরাত্রির দিন ওদের বিয়েও দেওয়া হয়। দ্বিতীয়ত, সকলেই জানেন দেবতা আর অসুররা যখন সমুদ্রমন্থন করেন তখন সমুদ্র থেকে ভয়াবহ বিষ উঠতে থাকে৷ বিষের উগ্রতায় সমস্ত সৃষ্টি নষ্ট হতে বসে ৷ তখন মহাদেব এই বিশ্ব-চরাচরকে বাঁচাতে মহাদেব সেই ভয়াবহ গরল কণ্ঠে ধারণ করেন। বিষে তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়৷ এইজন্য শিবের আরেক নাম নীলকণ্ঠ৷ ফাল্গ‌ুন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে কালকূট বিষ পান করে মহাদেব সৃষ্টি রক্ষা করেছিলেন বলে এই দিনটিতে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়।

মহাদেবের স্মরণ করে রইল লেটেস্টলি বাংলার শুভেচ্ছা পত্র-