ভিটামিন ডি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যা শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি হাড়, দাঁত এবং পেশীর জন্য প্রয়োজনীয়। মূলত সূর্যের আলো এবং দুধ, ডিম, মাছের মতো কিছু খাবার থেকে ভিটামিন ডি পায় শরীর। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি না থাকলে ইনজেকশনের মাধ্যমে এর মাত্রা বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন ডি ইনজেকশন গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা।
বর্তমানে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভিটামিন ডি ইনজেকশন নিয়ে নেন এই বিশ্বাসে যে এটি তাদের হাড়কে শক্তিশালী করবে এবং দুর্বলতা দূর করবে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি-এর ইনজেকশন গ্রহণ করলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে হতে পারে হাইপারক্যালসেমিয়া, কিডনিতে পাথর, হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা এবং হাড়ের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে, যার কারণে বমি বমি ভাব, বমি, দুর্বলতা এবং কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণের ফলে ধমনীতে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস হতে পারে, যা হাড়কে দুর্বল এবং ভঙ্গুর করে তোলে।