প্রতীকী ছবি

পরীক্ষা দেওয়ার পর মনমরা হয়ে পড়েছিল। তবুও বাড়ি ফিরে মাকে বলেছিল পরীক্ষা ভালো হয়েছে। এরপর জেরক্স করবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর খোঁজ পাওয়া গেল না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। অবশেষে রাতের অন্ধকারে লালবাঁধ ড্যাম (Lalbandh Dam) থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার মৃতদেহ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে (Bishnupur)। মৃত পড়ুয়ার নাম সৌমেন ঘোষ। যদিও মৃত্যুর কারণ শুধুই কি আত্মহত্যা নাকি অন্যকিছু, তা এখনও পরিস্কার নয়। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

বিষ্ণুপুরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

জানা যাচ্ছে, মৃতের বাড়ি বিষ্ণুপুর শহরের হাউসিং সংলগ্ন কলোনী এলাকায়। মঙ্গলবার রসায়ন বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষা দিয়ে সাইকেলে করে বাড়ি ফেরেন সে। তারপর সাড়ে ৩টের কিছু পরে আবারও জেরক্স করার নামে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয় সে। সেই সময় সঙ্গে ফোনও নিয়ে যায়নি। এরপর দীর্ঘক্ষণ সৌমেন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দ্বারস্থ হন বিষ্ণুপুর থানায়। তারপর শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

মৃত্যুর কারণ অজানা

এরমধ্যেই রাতের দিকে খবর আসে লালবাঁধ ড্যামের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি সাইকেল ও জামাকাপড়। ঘটনাস্থলে সৌমেনের বাবা-মা সেগুলি দেখে নিশ্চিত করেন যে জিনিসপত্রগুলি তাঁদের ছেলের। এরপর ড্যামের জলে শুরু হয় খোঁজাখুজি। গভীর রাতে স্পিড বোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অবশেষে কিছুক্ষণ পর ভেসে ওঠে সৌমেনের মৃতদেহ। ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি দেখে ঘটনাস্থলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, পরীক্ষা ভালো না হওয়ার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই পড়ুয়া। তাঁর সহপাঠীরাও জানিয়েছেন, পরীক্ষার পর থেকেই মনমরা ছিল সে।