
ট্যাংরাকাণ্ডের ছায়া আবারও শহর কলকাতায়। এবার গড়িয়ার (Garia) একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক দম্পতির মৃতদেহ। মৃত ব্যক্তির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, অন্যদিকে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পড়েছিল তাঁর স্ত্রীর দেহ। ঘটনাটি ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গড়িয়ার আদর্শনগরে। পুলিশ এসে ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবার ও আত্মীয়দেরও জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে দেনায় ডুবেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই দম্পতি।
বুধবার রাতে শেষবারের জন্য দম্পতিকে দেখেছিলেন প্রতিবেশীরা
জানা যাচ্ছে, সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শনগর এলাকায় গুরুপদ মণ্ডলের বাড়িতে মাসছয়েক হল ৪৫ বছরের তরুণ দাস ও ৩৫ বছরের আশা দাস থাকতেন। ওই বাড়িতেই আশা দাসের বোনও ভাড়া থাকতেন। গত বুধবার বিকেলের দিকে কাজ সেরে ফিরছিলেন তরুণ ও আশা। ঘরের ঢোকার আগে প্রতিবেশীদের সঙ্গে গল্পগুজবও করেন। কেউ তখনও ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, দুজনকে এটাই শেষবারের জন্য দেখছেন।
ঘটনার তদন্তে পুলিশ
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে কেউ বেরোননি। এদিন সকালে আশার বোন ঘরে ঢুকে দেখতে পান মেসোর দেহ গামছায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। খাটে পড়ে রয়েছে মাসির দেহ। তড়িঘড়ি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সকলকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তাঁরা দেখতে পায় মহিলার মুখ থেকে রক্ত বেরিয়েছে এবং গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। দম্পতির একটি ছেলে ও মেয়েও রয়েছে। তাঁদের আগে থেকেই মামাবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা।