Representational Image (Photo Credit: File Photo)

একদিকে ব্যাঙ্কের ঋণ পরিশোধ নিয়ে ঝামেলা, অন্যদিকে সম্পত্তি নিয়ে অশান্তি। এই দুইয়ের মাঝে পড়ে আর্থিক অনটনে আত্মঘাতী হল এক দম্পতি। ট্যাংরাকাণ্ডের মতোই কসবার হালতুতেও (Haltu) একই পরিবারের তিন সদস্য আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে আড়াই বছরের এক পুত্রসন্তানও। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে মৃত ব্যক্তির মামা ও মামি ও ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট। মৃতদের নাম সোমনাথ রায়, তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় ও ছেলে রুদ্রনীল রায়।

আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল সোমনাথের পরিবার

জানা যাচ্ছে মৃত সোমনাথ হালতুর পূর্বপল্লীতে মামাবাড়ির একটি ঘরে থাকতেন। বিগত কয়েকবছর ধরেই সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছিল মামা প্রদীপ কুমার ঘোষাল ও মামি নীলিমা ঘোষালের সঙ্গে। অন্যদিকে চারদিকে দেনাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ব্যাঙ্ক। পেশায় অটোচালক সোমনাথ ছেলের চিকিৎসা ও আর্থিক সমস্যা মেটানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আর সেই ঋণের বকেয়া পরিশোধ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সোমনাথ। সেই কারণে রিকভারি এজেন্ট চঞ্চল মুখোপাধ্যায় তাঁকে হামেশাই হেনস্থা করত।

হালতুকাণ্ডে গ্রেফতার ব্যাঙ্ককর্মী

মঙ্গলবার পুলিশ যখন সোমনাথ ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলের দেহ উদ্ধার করেন, তখন দেওয়ালে কয়েকজনের নাম লেখা ছিল। যার মধ্যে ছিল মামা প্রদীপ, মামি নীলিমা ও রিকভারি এজেন্ট চঞ্চলের নাম। এমনকী সুমিত্রার পরিবারও এই তিনজনের নামে অভিযোগ দায়ের করলে মঙ্গলবার রাতেই মামা-মামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার হয় চঞ্চলও। পুলিশসূত্রে খবর, আর্থিক অনটনের কারণে ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন এই দম্পতি। যদিও ছেলেকে বাবা নাকি মা, কে হত্যা করেছে তা এখনও পরিস্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে এই বিষয়ে পরিস্কার ধারণা হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।