শিশুরা হল প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ দান, তাই তাদের যত্ন সবকিছুর আগে। কীভাবে রাখলে শিশু ব্যথা পাবে না, অসুস্থ হবে না, ঠিকমতো খাবে ঘুমোবে। সবদিকেই তীক্ষ্ন নজর থাকে বাড়ির লোকজনদের। নিজেরা পার্লারে গিয়ে রূপটান করছেন, চুলে কার্ল বা স্ট্রেটনিং কত কী। শ্যাম্পু বদলাচ্ছেন ফ্যাশনের চাহিদা অনুযায়ী। কিন্তু বাড়ির একরত্তি সদস্যের জন্য সেই ভরসার জায়গা বেবি জনসন( Baby Johnson), ঠিক ধরেছেন জনসন অ্যান্ড জনসন(Johnson & Johnson)। তা সে বডি অয়েলই হোক বা সাবান, ক্রিম শ্যাম্পু। কিন্তু সেই ভরসার জায়গায় যদি চিড় ধরে তখন কেমন অসহায় লাগে তাই না। এক্ষেত্রও তার ব্যতিক্রম হল না। ঠিকই ধরেছেন দীর্ঘদিনের ভরসাযোগ্য তকমা হারিয়ে ফেলেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। অভিযোগ, সংস্থার তৈরি বেবি প্রোডাক্টে এমন কিছু রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমনকী প্রোডাক্টের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ক্যানসারের বিষ।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইট অর্থাৎ NCPCR৷ ওই সংস্থার তৈরি বেবি প্রোডাক্ট আর ব্যবহার না করার নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে।রাজস্থানের পর্যবেক্ষক সংস্থার আরও দাবি, শ্যাম্পুর নমুনায় মিলেছে ফর্মালডিহাইড৷ ওই রাসায়নিকের জেরে হতে পারে শিশুদের ক্যানসারও৷ তাই আপাতত জনজন অ্যান্ড জনসন বেবি শ্যাম্পু বিক্রি প্রতিটি রাজ্যে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল রাজস্থান(Rajasthan), মধ্যপ্রদেশ(MP), ঝাড়খন্ড(Jharkhand), অসম(Assam), অন্ধ্রপ্রদেশ(AP) এই পাঁচটি রাজ্যের সমঝোতায় এ বিষয়ে একটি শুনানিও হয়। তারপরই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না নেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানায় ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইট অর্থাৎ NCPCR৷
যদিও সংস্থার তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে এখনই সেসব মানতে রাজি নন অভিভাবকরা যতক্ষণ না সরকার এবিষয়ে কোনওরকম ক্লিনচিট দিচ্ছে ততক্ষণ জনসন অ্যান্ড জনসন গৃহস্থের বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে একরত্তিদের নাগালে ফৌঁছাতে পারছে না।