Representative Image (Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি: পুণের (Pune) পর মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। তবে মধ্যপ্রদেশ থেকে যে ভয়াবহ ধর্ষণের (Rape) ঘটনা সামনে এল, তা শুনলে চমকে উঠবেন। মধ্যপ্রদেশে ৫ বছরের একরত্তি শিশুর উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। যার জেরে ওই শিশুর যৌনাঙ্গে ২৮টি সেলাই পড়েছে। সেই সঙ্গে কলোনের অংশেও অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গ্বালিয়রের কমলা রাজা হাসপাতালে ওই শিশুর চিকিৎসা চলছে। অবাক করার মত বিষয় হল, একরত্তির উপর যে অত্যাচার করেছে, সেও কিশোর। তার বয়স মাত্র ১৭। অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে জুভেনাইলে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ বছরের শিশুর উপর অত্যাচারের সময় ওই কিশোর মদ্যপ অবস্থায় ছিল। মত্ত কিশোর জোর করে ওই শিশুর মাথা দেওয়ালে নিয়ে গিয়ে বাড়ি মারে। এরপর তার মাথা থেঁতলে দেয়। ওই ছোট্ট শিশুর মাথা যেমন থেঁতলে গিয়েছে, তেমনি তার শরীরে একাধিক ক্ষত রয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বছর পাঁচের ওই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর শরীরে পরপর সেলাই যেমন পড়েছে। তেমনি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তেমনি ২ ঘণ্টা ধরে ওই শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরও ওই শিশুর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ওই শিশুর মুখ থেকে একটি কথাও বেরোয়নি। চিকিৎসরা সমস্ত ধরনের চেষ্টা চালালেও এখনও কোনও ফলে মেলেনি বলে খবর।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরীর বাসিন্দা ওই শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজের ২ ঘণ্টা পর বছর পাঁচের কন্যার খোঁজ মেলে। তবে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদের উপর। ছাদের উপর যখন রক্তে ভেসে যায় শিশুর শরীর, সেই সময় তাকে উদ্ধার করেন বাবা, মা এবং প্রতিবেশীরা।

ঘটনার পরপরই ১৭ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধ ক্ষোভ উগরে দেন শিশুর বাড়ির লোকজন। ওই কিশোরের যাতে মৃত্যুদণ্ড হয়, সেই দাবি করা হয়ে। পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয়রাও অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করছেন।