নবদুর্গার তৃতীয় রূপ দেবী চন্দ্রঘণ্টা। আশ্বিন মাসের  শুক্লাপক্ষের নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দেবী চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করেন ভক্তরা। কথিত আছে, শিব ও পার্বতীর বিয়ের সময় তারকাসুর সেই বিয়ে রোধ করার চেষ্টা করেছিল। সেজন্য পিশাচ, দৈত্য, দানব, প্রেতকে পাঠিয়েছিল। তাদের ঠেকাতে দেবী পার্বতী চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করে চাঁদের মত বিশাল সাদা ঘণ্টা বাজিয়ে সব দৈত্য, ভূত, প্রেতকে তাড়িয়েছিলেন। আবার অন্যমতে, বিয়ের সময় শিব চণ্ড রূপ ধারণ করায় দেবী মেনকা মূর্ছা গিয়েছিলেন। তখন দেবী পার্বতী চন্দ্রঘণ্টা রূপ ধারণ করেন। যা দেখে শিব ভীত হন ও চণ্ড রূপ ত্যাগ করে বিয়ের জন্য অপূর্ব বস্ত্র পরিধান করেন।

নবরাত্রির তৃতীয় দিনে দিল্লির ঝান্ডেওয়ালা মন্দিরে প্রভাত আরতি দিয়ে শুরু হল দেবীর পূজা।

দেবী চন্দ্রঘণ্টা অশুভের বিনাশকারিণী। তিনি তেজস্বরূপা। তাঁর মধ্যে পরমাশক্তি রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে করুণা, ন্যায় ও পরমার্থিক শান্তি প্রদানকারিণী শক্তি। দেবী চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করলে সমস্ত অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেই বিশ্বাস ভক্তদের। উৎসবের আবহে নবরাত্রির তৃতীয় দিনে সমগ্র ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখলেন-

"আজ নবরাত্রিতে দুর্গা মায়ের তৃতীয় রূপ দেবী চন্দ্রঘন্টার পূজার দিন। তাঁর অসীম কৃপায় সকলের জীবন বীরত্ব ও নম্রতায় শোভিত হোক, এই প্রার্থনা"