মহারাষ্ট্রের একটি প্রধান উৎসব হল গুড়ি পড়ওয়া। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, গুড়ি পড়ওয়া পালন করা হয় চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদে। মারাঠি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয় গুড়ি পড়ওয়া। হিন্দু নববর্ষ শুরু হয় এই দিন থেকেই। এই দিনে মারাঠি সম্প্রদায়ের মানুষেরা সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাড়ির বাইরে একটি গুড়ি বেঁধে তাকে পুজো করে। মান্যতা রয়েছে যে এটি সারা বছরের জন্য সুখ, সাফল্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
২০২৪ সালে গুড়ি পড়ওয়া পালন করা হবে ৯ এপ্রিল। এই দিন থেকে শুরু হবে হিন্দু নববর্ষ বিক্রম সংবত ২০৮১ এবং চৈত্র নবরাত্রিও। গুড়ি পড়ওয়ার দিনটি চৈত্র প্রতিপদ নব সংবতসর উগাদি, চেতি চাঁদ এবং যুগাদি নামেও পরিচিত। এই দিনে ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান করে মহিলারা তাদের বাড়ির বাইরে গুড়ি স্থাপন করে। গুড়ি তৈরি করার জন্য বাঁশের কাঠ নিয়ে তার উপর একটি রূপা, তামা বা পিতলের কলশ স্থাপন করা হয়। এরপর একটি জাফরান রঙের পতাকা লাগানো হয়। ফুল দিয়ে সাজিয়ে সঙ্গে দেওয়া হয় নিম বা আমের পাতা। এরপর এটি বাড়ির সবচেয়ে উঁচু স্থানে স্থাপন করা হয়।
গুড়ি মানে পতাকা আর প্রতিপদ তিথিকে বলা হয় পড়ওয়া। এই উৎসবের পর কাটা হয় রবি ফসল। মান্যতা রয়েছে যে গুড়ি পড়ওয়ার দিন ব্রহ্মা এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন। এই দিনটির সম্পর্ক রয়েছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের সঙ্গে, মারাঠা শাসক ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কারণে মহারাষ্ট্রে এই দিনে হিন্দুত্বের বিজয় পতাকা রূপে বাড়ির বাইরে গুড়ি স্থাপন করা হয়। এছাড়াও কথিত আছে সত্যযুগেরও সূচনা হয়েছিল এই দিনেই। পাশাপাশি এই দিনেই মহান জ্যোতিষী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য ২৪ ঘন্টার দিন, মাস ও বছর গণনা করে পঞ্জিকা রচনা করেছিলেন।