Durga Puja 2019: জ্যান্ত দুর্গার হাতে চক্ষুদান প্রতিমা দুর্গার; নর্থ ত্রিধারার থিম স্টিয়ারিং হাতে দুর্গা
প্রতিমা পোদ্দার ও তাঁর আদলে তৈরী মূর্তি (Photo Credits: Dipanwita Bagchi)

'দুর্গার দুর্গা', প্রতিমা দুর্গাকে চক্ষুদান করলেন মানুষ দুর্গা। একদিকে মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবীদুর্গার প্রতিমা অন্যদিকে সম্মানিত হবে জ্যান্ত দুর্গা প্রতিমা। এই জ্যান্ত দুর্গার নাম প্রতিমা পোদ্দার। একহাতে সংসার সামলান অন্যহাতে বাসের স্টিয়ারিং। আর তাঁর এই প্রতিভাকে তুলে ধরেছে নর্থ ত্রিধারা সার্বজনীন দুর্গোৎসব (North Tridhara Sarbojanin Durgatsav)। এবছরের ভাবনা 'দুর্গার দুর্গা'। তাঁদের এবারের থিম (Theme) মিনিবাস (Minibus)। থিমশিল্পী সম্রাট ভট্টাচার্য। নারীর ক্ষমতায়নের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিমা পোদ্দারের (Pratima Poddar) জীবন। তিনি গতিমান, তিনি দুর্বার।

মণ্ডপে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে বাস ও ট্যাক্সির বিভিন্ন সরঞ্জাম। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হয়েছে বাসের স্টিয়ারিং, লুকিং গ্লাস, উইন্ড গ্লাস ইত্যাদি। থিমে বাস ও ট্যাক্সির সরঞ্জাম যে মণ্ডপে প্রদর্শিত হচ্ছে শুধু তাই নয়। ভাবনার পিছনে রয়েছে অন্য এক কাহিনী। প্রতিমা মন্ডল যিনি সংসারে অভাবের তাড়নায় হাতে তুলে নিয়েছিলেন স্টিয়ারিং। প্রথমে তিনি চালাতেন ট্যাক্সি। এরপর বাস। বেলঘড়িয়া থেকে হাওড়া স্টেশন ভায়া নিমতা। এই পথেই রোজকার যাতায়াত প্রতিমা দেবীর। কখনও নিজেই তুলে নেন বাসের স্টিয়ারিং, কখনও বা তাঁর স্বামী। স্বামী কন্ডাক্টর হলে তিনি চালক। স্বামী চালক হলে কন্ডাক্টরের ব্যাগটি কাঁধে তুলে নেন তিনি নিজেই। ৪৬ বছর বয়সেও তিনি এগিয়ে নিয়ে চলেছেন স্টিয়ারিং। আরও পড়ুন,  বার পুজোয় নতুন চমক 'ডাক্তারকে বলো'; ফোন করে শেয়ার করুন জমে থাকা অবসাদ

জনসংযোগ আধিকারিক দীপান্বিতা বাগচী লেটেস্টলি বাংলাকে জানান, 'উত্তর ত্রিধারার পুজো এবার ১৯ তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রতিমা শিল্পী নবকুমার পাল। থিমশিল্পী সম্রাট ভট্টাচার্য। পুজো কমিটির সদস্যরা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বারবার কাজ করতে চায়। তাই এই ভাবনা। সংসারে অভাবের কারণে প্রতিমাদেবীকে এই পেশা বেছে নিতে হয়েছিল।'

 

প্রতিমা পোদ্দার

মণ্ডপে প্রতিমা দেবীর একটি মূর্তিও বসানো হয়েছে। মূর্তিটি ফাইবারের তৈরী। শিল্পী সুবিমল দাস অবিকল প্রতিমাদেবীর আদলে মূর্তিটি তৈরী করেছেন। গতকাল প্রতিমাদেবী নিজের হাতে দেবীদুর্গার চোখ আঁকেন। এই মূর্তিটি সুসজ্জিত মণ্ডপে নারীশক্তিকে আরও দৃঢ় করবে। প্রেরণা জোগাবে এই সমাজকে। আলোর দিশা দেখাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের।