DR. Ranjan Ghosh (Photo Credits: DR. Ranjan Ghosh)

কলকাতা, ২৮ সেপ্টেম্বর: অনেক তো হল 'দিদিকে বলো (Didike Bolo)'....'দাদাকে বলো (Dadake Bolo)'! এবার পুজোয় নতুন চমক 'ডাক্তারকে বলো (Ask Doctor)।' ফোন করে শেয়ার করুন আপনার মনের জমে থাকা অবসাদ (Frustration)। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মেন্টাল কাউন্সিলিং (Free Mental Counselling) করবেন ডাঃ রঞ্জন ঘোষ (DR. Ranjan Ghosh)। আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়ে সারা মাসই এই পরিষেবা (Service) পাওয়া যাবে। ফোন নম্বর (Phone Number)- ৭০০৩১৭৪৭১৮। এবার পুজোয় বোধন টু বিসর্জন - চলবে মনন শোধন।

দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) বালিগঞ্জে (Ballyganj) সম্প্রতি 'গুড কর্ম' (Good Karma) নামের একটি কাউন্সিলিং সেন্টার (Counselling Centre) খুলেছেন ডাক্তারবাবু (mbbs.md-USA)।   'গুড কর্ম'-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খোদ ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও (Ex President Pranab Mukherjee)। এমন ভাবনা কেন এল? সেই প্রসঙ্গে রঞ্জনবাবু জানান, এই পুজো হয়ে উঠুক ফাস্ট্রেশন ফ্রি। এই ভাবনা থেকেই তিনি বিনামূল্যে মেন্টাল কাউন্সিলিং দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। পুজো (Durga Puja) খুশির মরশুম। এই মরশুমে অনেকে সুখী থাকেন আবার অনেকেই সুখী থাকার অভিনয় করেন। আর মায়ের কাছে গিয়ে মনে মনে প্রার্থনা করেন সমস্যা সমাধানের। মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের বাস। ঈশ্বরের দূত হিসেবে মানুষই সমাধান করেন মানুষের সমস্যার। এই বিশ্বাসও লোকসমাজে প্রচলিত। তাই মায়ের কাছে সমস্যা জানানোর সঙ্গে সঙ্গে একজন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। অন্যভাবে ভাবলে, মানুষ ঈশ্বরের পরের স্থানটিতে ডাক্তারকেই বসিয়ে থাকেন। এই বিশ্বাসকে অটুট রাখতেও এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। রঞ্জনবাবু আরও জানান, এমনিতে প্রতি ৩০ মিনিটে আমার ফি ১০০০ টাকা। কিন্তু পুজোর এই এক মাস কেউ আমায় ওই নম্বরে ফোন করে মানসিক অবসাদের কথা শেয়ার করলে আমি বিনামূল্যে তাঁকে পরামর্শ দেব। আরও পড়ুন- Durga Puja 2019: কলকাতার ট্যাংরার দাস বাড়িতে ১৫ দিন আগেই শুরু দুর্গা পুজো, দশমী নয় নবমীতেই পুজো শেষ এখানে

(Photo Credits: DR. Ranjan Ghosh)
(Photo Credits: DR. Ranjan Ghosh)

মহালয়া মায়ের আগমনী। এই দিনে মায়ের কথা যেন বড্ড বেশি করেই মনে পড়ে যারা মা হারাদের। এই অনুভূতি বুকে নিয়েই আবেগমোথিত হয়ে ডাক্তারবাবু জানান, জানেন আমার এমন পরিকল্পনা নেওয়ার পিছনে একটা ব্যক্তিগত কারণও রয়েছে। আমি ২০ বছর আমেরিকায় (USA) প্রাকটিস করেছি। টাকা-পয়সা রোজগার করেছি। কিন্তু এখন আমি এই দেশে থেকেই দেশের মানুষের সেবা করতে চাই। জানেন! আমার মা দু'বছর হল আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তখনও আমি আমেরিকায়। মা আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে আমায় বলে গিয়েছিলেন - এবার দেশে ফিরে এসো। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াও। এক মা চলে গিয়েছেন...আরেক মায়ের উৎসবে তাই এটা আমার নৈবেদ্য।